খোরশেদ আলম, রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চীনে ১১৩ যাত্রী নিয়ে প্লেনে আগুন
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল নয়টায় দিনাজপুর জেলায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম লোকমান হোসেন শাওন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে হামলাকারীর নাম আনাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী।
এক সূত্রে জানা যায়, হামলাকারী আনাস ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাওনের বাসায় এসে শাওনকে দেশীয় অস্ত্র( দা-শাবল-চুরি ) দিয়ে জখম করে। এ সময় শাওনের ছোটভাই ও তাদের মাকেও মারধর করে পালিয়ে যায় ।
এই ঘটনায় শাওনের বড়ভাই স্বাধীন বলেন , 'আমি ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পর থেকেই পাশের বাড়ির ওই পরিবারের সাথে কোনো কারণ ছাড়াই ঝামেলা হতে শুরু করে। তারা আমাদের যেকোনো অর্জন দেখতে পারতো না। গতকাল আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছি। আজ সকাল নয়টার দিকে কোনো কারণ ছাড়াই ঝামেলা শুরু করে আনাস নামের ঐ ছেলেটা। এক পর্যায়ে আনাস শাওন ও আমার ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। আমার মা কেও মারধর করেছে।'
আরও পড়ুন: কয়েকদিন হাসপাতালেই থাকছেন সম্রাট
তিনি আরও বলেন, 'এলাকায় আনাসের বাবাকে সবাই সন্ত্রাসী হিসেবে চিনে। এছাড়া তার নামে একাধিক হত্যা মামলাও রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।'
ভুক্তভোগী রাবি শিক্ষার্থী শাওন বলেন, 'বাড়িতে আমি, মা ও ছোট ভাই ছিলাম। বাবা বাহিরে ছিলেন। আনাস ও তার পরিবারের সদস্য পাঁচজন মিলে দা, লাঠি, শাবল দিয়ে হামলা করে। এতে আমার মাথায় বিশটা সেলাই দেওয়া হয়। আমার মা ও ছোট ভাইকেও প্রচুর মারধর করে তারা।'
তিনি আরও বলেন, 'তারা একটা ডাকাতের পরিবার। গতবছর ডাকাতির কারণে ধরা পড়ে। আমি আমাদের পরিবারের উপর এমন পূর্বপরিকল্পিত হামলার যথাযথ বিচার দাবি করি।'
এ বিষয়ে দিনাজপুর খানসামা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি ) কামাল হোসেন বলেন, 'ভুক্তভোগীর বড় ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। থানায় এসে তার আত্মীয়ের কাউকে লিখিত অভিযোগ দায়ের (এজাহার) করতে বলেছি। এখন যারা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে। এটা তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক ঝামেলা। থানায় এসে লিখিত অভিযোগ( এজাহার) করার পর আমরা ব্যবস্থা নিবো। '
সাননিউজ/এমআরএস