আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে হামলায় নিহত বেড়ে ৪৪
সোমবার (৩১ জুলাই) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিত্র দলগুলোর সাথে পরামর্শের আলোকে আগামী ১২ আগস্টের আগে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। জিও নিউজ প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন : ভারতে ট্রেনে গুলি, নিহত ৪
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, জাতীয় পরিষদের মেয়াদ ১২ আগস্ট শেষ হবে এবং তার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এরপর নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতার সাথে পরামর্শ করে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং তার আগে তিনি সমস্ত মিত্র দল ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) নওয়াজ শরিফের সাথেও এই বিষয়ে পরামর্শ করবেন।
আরও পড়ুন : মাইক্রোবাস চাপায় ট্রাকচালক নিহত
সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করার বিরোধিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। নির্বাচন নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে সেজন্য এই পদে নিরপেক্ষ কোনও ব্যক্তিকে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগের দিন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তীব্র সমালোচনা করেন শেহবাজ। এমনকি গত ৯ মে সামরিক নেতৃত্বের পতনের লক্ষ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার পেছনে ইমরানকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেও তিনি অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন : দেশে ফিরেছেন ১১০৫৯৫ হাজি
শেহবাজ শরিফ বলেন, পিটিআই কর্মীদের পাশাপাশি একদল রাজনীতিবিদ, কিছু সামরিক ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারও ৯ মের সহিংসতায় জড়িত ছিল।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ওই দিনটিকে পাকিস্তানের ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন : মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১৯
শেহবাজ শরিফ আরও বলেন, ৯ মের ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাত করতে চেয়েছিল। চক্রান্তকারীরা দেশে ‘অরাজকতা’ এবং ‘যুদ্ধ’ চেয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং দেশটির সেনাবাহিনীর লাহোর কর্পস কমান্ডারের বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিসহ সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়।
সান নিউজ/এমআর