সান নিউজ ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নেপাল যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : বিকেলে বসছে সংসদ অধিবেশন
নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সিইসি’র নেপাল সফর করার কথা রয়েছে ।
উপ-সচিব মো. শাহ আলম জানান, আমরা মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি), পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে চিঠি দিয়েছি।
তিনি আরও জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও সিইসি একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন ‘ইলেকশন অব হাউজ, অব রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যান্ড প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি অব নেপাল’ পর্যবেক্ষণে নেপাল সফরে যাবেন। আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা ত্যাগ করে সিইসি দেশে ফিরবেন ২২ নভেম্বর।
আরও পড়ুন : সাংবাদিকদের দুর্বলতা রয়েছে, পরিপক্বতা দরকার
উপ-সচিব সিইসির সফরের শর্তের বিষয়ে জানান, সিইসি ১৮ নভেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ২২ নভেম্বর ঢাকায় ফিরে আসবেন। এই সফরের সময়কাল এবং ট্রানজিটের জন্য ব্যয় করা সময়কে দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হবে। নেপাল সরকার হোটেল, খাবার এবং স্থানীয় পরিবহন সুবিধা দেবে।
অন্যদিকে ঢাকা-নেপাল-ঢাকা বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ দেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো আইন অনুযায়ী গঠন করা হয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দেয়া হয়।
বিগত শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন : তরুণরাই আগামী দিনের নেতা
নিয়োগপ্রাপ্ত অপর ৪ নির্বাচন কমিশনার :
১) অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা,
২) অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান,
৩) অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং
৪) আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন : সেন্ট মার্টিন রক্ষায় পরিবেশ সমুন্নত রেখেই উন্নয়ন
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল অবিভক্ত আইন মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে কমিটিকে ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করে।
আরও পড়ুন : ‘জেলহত্যা দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে নাম নেওয়া ছাড়াও বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করে। গত মঙ্গলবারের (২২ ফেব্রুয়ারি) সভায় ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে কমিটি।
সিইসি ও ৪ জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনে ১০ জনের ওই নামের তালিকা ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসা সুপারিশ গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয় সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটি নতুন ইসি গঠনে মোট ৭টি বৈঠক করেছে। এছাড়া সার্চ কমিটির সঙ্গে চারটি সভায় অধ্যাপক, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি, সরকারি সাবেক কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন : জুয়া খেলেই শত কোটি টাকার মালিক!
পরে সার্চ কমিটির কাছে আসা ৩২২ জনের নামের তালিকা করা হয়। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপরও রাজনৈতিক দলসহ বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে নাম নেয় কমিটি।
প্রসঙ্গত, গঠিত সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন:
১) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান,
২) মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী,
৩) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন,
৪) সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং
৫) কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সান নিউজ/এইচএন