নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশাল শহরের একটি নার্সিং ইন্সটিটিউটের হোস্টেলে ভূত আতঙ্কে ৪ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর রূপাতলী হাউজিং এলাকায় বেসরকারি জমজম নার্সিং ইন্সটিটিউটের হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ ছাত্রীরা হলেন- নার্সিং অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জামিলা আক্তার, সেতু দাস এবং প্রথম বর্ষের ছাত্রী তামান্না আক্তার ও বৈশাখী।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, ইন্সটিটিউটের ওই হোস্টেলে ৩৫ ছাত্রী থাকেন। অনেকদিন ধরেই কয়েক জন ছাত্রী বলে আসছিলেন, ছাদে কারোর হাঁটাহাঁটির শব্দ পাওয়া যায়। কলেজ প্রশাসনকে নিজেদের আতঙ্কের কথাও জানিয়েছিলেন ছাত্রীরা। শুক্রবার কোনেও একটি অবয়ব দেখে ভয়ে আতকে ওঠেন ৪ ছাত্রী। একপর্যায় তারা অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ম্যাটস অনুষদের এক ছাত্র বলেন, ‘ঘটনা শোনার পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে আনেননি কর্তৃপক্ষ। বরং বিষয়টি গোপন রাখতে বলেছিল তারা। তাই আমরা বয়েজ হোস্টেল থেকে গিয়ে ওদের উদ্ধার করে হাসপাতালে এনেছি। এখন আমরা নিজেরাই টিসি আতঙ্কে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভূত তাড়াতে ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ মিলাদও দিয়েছিল। কোনেও কাজ হয়নি। এরপর হুজুর আনা হয়েছিল। সে নিজের জীবন সংকটাপন্ন হওয়ার কথা বলে অন্য হুজুর আনার পরামর্শ দেয় হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে। এরপরই এ ঘটনা ঘটল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোস্টলের অপর এক ছাত্রী দাবি করেন, ‘প্রথমে ভূত মিথিলা নামে এক ছাত্রীকে খামচি দেয়। এতে মেয়েটি ভয় পেলে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ হুজুর এনে তেল ও পানি পড়া দেয়। কিন্তু সন্ধার পর জামিলা নামের অপর এক ছাত্রীর বাম হাতে ভূত খামচি দেয়। এরপর শুরু হয় আতঙ্ক। সেই আতঙ্ক থেকে একে একে আরও তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
জমজম নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইন্সট্রাক্টর জালিস মাহামুদ বলেন, ‘ছাত্রীরা কোন কারণে ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা বলছে, ভূত দেখেছে। আসলে তেমন কিছু নয়। জোরে বাতাসের শব্দে হয়ত ভয় পেয়েছে। তাদের সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
তবে এই বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকরা কোনেও মন্তব্য করতে রাজি হননি। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা চলছে। তারা সুস্থ হলে এ বিষয়ে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকরা।
সান নিউজ/খান রুবেল/এসএ