নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে বোরো মৌসুমে যে খাদ্যশস্য সংগ্রহ চলছে তাতে কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে এবার কৃষক বোরোতে ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। এই বাজার দর ধরে রাখতে সরকারি সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া বিনির্দেশ মোতাবেক খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে।’
ধান-চাল কেনায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন। এই করোনাকালে মানুষকে সেবা করার উপযুক্ত সময়। আপনারা সরকারের তালিকাভুক্ত, সবসময় সরকার আপনাদের নিকট হতে চাল ক্রয় করে এবং এবারও আপনারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।’
চালকল মালিকদের চুক্তি মোতাবেক সঠিক সময়ে চাল দেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
চাল সরবরাহের সময় বস্তার গায়ে খাদ্যগুদামের নাম, তারিখ এবং কোন খাতে (খাদ্য বান্ধব, ওএমএস, টিআর, কাবিখা) এটা স্পষ্ট স্টেনসিলের মাধ্যমে অমোচনীয় কালি দিয়ে লিখতে হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য অধিদফর এবং এর মাঠ পর্যায়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ওসিএলএসডিসহ কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করায় মন্ত্রী তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ধান, চাল সংগ্রহের সময় কোনো কৃষকের সঙ্গে অসদাচারণ করবেন না, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হবেন না ‘
ভিডিও কনফারেন্সে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের প্রকিউরমেন্ট যেন কৃষকবান্ধব প্রকিউরমেন্ট হয়। চালের মান নিয়ে কোনো আপোষ নেই। কোনো কৃষক যেন তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের নিকট বিক্রি না করেন।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সমন্বয় ও সঞ্চালনায় সভায় খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিক প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।
সাননিউজ/এএসএম