আহমেদ রাজু
১৯৪২ সাল। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিলো। মার্কিন এয়ার ফোর্সে দেখা দেয় বৈমানিক সংকট। পুরুষ বৈমানিকদের বিশ্রাম দিতে মার্কিন সরকার একটি প্রকল্প নেয়। যদিও প্রকল্পটি চলেছিলো মাত্র দুই বছর।
সেই প্রকল্পের আওতায় ১১০০ তরুণীকে বোমারু বিমান চালনার প্রশিক্ষণ দেয় মার্কিন এয়ার ফোর্স। প্রথমে ধারনা ছিলো মেয়েরা এই প্রশিক্ষণের যোগ্য নয়। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে তৎকালিন মার্কিন এয়ার ফোর্স প্রধান হেনরি হ্যাপ আর্নল্ড বলেছিলেন, ‘মেয়ে বৈমানিকরা পুরুষ বৈমানিকের চেয়ে কোনো অংশেই কম নন।’
নারী বৈমানিকরা মিলিটারি এয়ার ক্রাফট বি-১৭, বি-২৬ ও বি-২৯ চালনার প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা যুদ্ধেও অংশ নেন।
প্রশিক্ষণের শেষ দিন বি-১৭ এয়ার ক্রাফট থেকে নেমে আসছেন চার নারী বৈমানিক। তাদের হাতে প্যারাস্যুট। তারা বোমারু বিমানের প্রথম বৈমানিক। বলা হচ্ছে—তারাই পৃথিবী বদলে দেয়া নারী। তাদের কারণেই পৃথিবী আজকের এখানে পৌঁছেছে।
সাননিউজ/এমএইচ-১৩