সান নিউজ ডেস্ক : তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের নাইংচি শহরে তুষারধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের আপিল
শনিবার (২১ জানুয়ারি) চীনের সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় মেনলিং কাউন্টির পাই গ্রাম ও মেডগ কাউন্টির ডক্সং লা টানেলের বহির্গমন পথে তুষার ধসের ঘটনা ঘটে।
এতে গাড়িতে থাকা বহু মানুষ আটকে পড়ে। উদ্ধারকারীরা জানান, শক্তিশালী বাতাসের কারণে এই তুষাররধসের ঘটনা ঘটেছ।
আরও পড়ুন : অপহৃত ৬৬ শিশু-নারী উদ্ধার
এছাড়া এ ঘটনায় ৫৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর, বলে যানায় চীনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।
সংবাদসংস্থা সিনহুয়া জানায়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তিব্বত মহাসড়কের সাড়ে সাত কিলোমিটারের একটি অংশে আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারের জন্য মোট ১ হাজার ৩৪৮ জন উদ্ধারকর্মী ও ২৩৬টি সরঞ্জাম মোতায়েন করেছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ পবর্তমালা হিমালয়ে প্রায়ই তুষারধসের ঘটনা ঘটে। এর আগে অক্টোবরে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডের দ্রৌপদী কা ডাণ্ডা-টু পর্বতে আরেকটি তুষারধসের ঘটনায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : জরুরি বৈঠকে পুতিন
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) তুষার ধসে তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের নাইংচি শহরে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার ও নিখোঁজদের সাহায্যের তদারকি করার জন্য একটি দল পাঠিয়েছে চীন সরকার।
সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় মেনলিং কাউন্টির পাই গ্রাম ও মেডগ কাউন্টির ডক্সং লা টানেলের কিছু অংশ পর রাস্তার একটি অংশে তুষার ধস হয়। ফলে সেখানে লোকজন ও যানবাহন আটকা পড়ে। তবে এ ঘটনায় কতজন নিখোঁজ ছিল তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন : ৪ বছরে ৪২ সাংবাদিক নিহত
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সমর্থিত গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কাজের জন্য ঘটনাস্থলে ১৩১ জন ও ২৮টি গাড়ি পাঠিয়েছে। তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপও পাঠিয়েছে চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ১ হাজার ফুট তুষার সরিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য ২৪৬ জন উদ্ধারকারী, ৭০টিরও বেশি যানবাহন, ১০টি বড় আকারের সরঞ্জাম ও ৯৯৪টি অনুসন্ধান ডিভাইস পাঠানো হয়েছে।
প্রায় ৯ হাজার ৩০০ ফুট গড় উচ্চতায় অবস্থিত নাইংচিকে ‘তিব্বতের সুইজারল্যান্ড’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
সান নিউজ/জেএইচ/এইচএন