সান নিউজ ডেস্ক: বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীদের জুম ক্লাস চলাকালে নাগিন ড্যান্স ও অশ্লীল ছবি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে ৩৫ জন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা বিব্রত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৭টায় মোবাইল ফোনে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছিলেন স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক সাকিব হাসান। ক্লাস শুরুর পরপরই কে বা কারা জুমে ঢুকে পড়ে। প্রথমে নাগিন ড্যান্স দেখায়। এরপর দু’বার অশ্লীল ছবি দেখায়।
এ সময় ছাত্রী ও পাশে থাকা বাবা-মা বিব্রতবোধ করে ফোন বন্ধ করেন। ছাত্রীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্যার ওই ব্যক্তিকে ব্লক করে দেন।
এতে শুধু ৩৫ জন ছাত্রী নয়, তাদের অভিভাবকরা বিব্রত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা জুম ক্লাসে অংশ নিতে সাহস পাচ্ছে না। তারা বলছেন এমন অনভিজ্ঞ শিক্ষক দিয়ে জুমে ক্লাস করানো ঠিক হয়নি।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন অভিভাবক শুক্রবার বিকেলে জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় মোবাইল ফোনের জুমে সপ্তম শ্রেণির ‘চ’ শাখার ৩৫ জন ছাত্রীর ক্লাস ছিল। অ্যাডমিন ছিলেন স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক সাকিব হাসান। ক্লাস শুরুর পরপরই কে বা কারা জুমে ঢুকে পড়ে। প্রথমে নাগিন ড্যান্স দেখায়। এরপর দু’বার অশ্লীল ছবি দেখায়। এ সময় ছাত্রী ও পাশে থাকা বাবা-মা বিব্রতবোধ করে ফোন বন্ধ করেন। ছাত্রীরা চিৎকার করে স্যার সাকিব হাসানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ওই ব্যক্তিকে ব্লক করে দেন। এর আগে ওই ব্যক্তি বলে- পারলে আমায় ধরেন।
একজন নারী অভিভাবক বলেন, তার মেয়ে জুমে গণিত ক্লাস করার সময় তিনি পাশে ছিলেন। স্বনামধন্য এমন স্কুলের ওই শিক্ষকের আইটি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা উচিত। শিক্ষার্থীরা জুমে প্রবেশ করলে তাদের নাম ও রোল দেখা যায়। অথচ অন্য ব্যক্তি কীভাবে জুমে ঢুকে অশ্লীল ছবি দিল তা নিয়ে অভিভাবকরা লজ্জিত, চিন্তিত ও বিব্রত। তারা মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত।
তারা আরও জানান, অনলাইনে ক্লাস চলাকালে মাঝে মধ্যেই কে বা কারা ঢুকে পড়ে। তারা ছাত্রীদের ‘লাভ ইউ’ ছাড়াও বিভিন্ন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে থাকে। এমন ঘটনা ঘটলেও হ্যাকারকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে স্কুলের পক্ষে থানায় অবহিত করা হয়নি।
অধ্যক্ষ মুহা. মুস্তাফিজার রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এমন ঘটনা ঘটলেও ওই শিক্ষক তাকে অবহিত করেননি। শিক্ষক সাকিব হাসান তাকে জানিয়েছেন, কে বা কারা জুমে ঢুকে শুধু মিউজিক বাজিয়েছিল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ব্লক করে দিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষক বোর্ডে অংক করছিলেন, তাই তিনি কোনো অশ্লীল ছবি দেখতে পাননি।
অধ্যক্ষ আরও জানান, এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সান নিউজ/এনএএম