নিজস্ব প্রতিনিধি: মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও টানা ভারী বর্ষণে বান্দরবান জেলার লামা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও পেকুয়ায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে চন্দনাইশ সড়কে জলাবদ্ধাতায় বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যান চলাচল।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে হতে পারে ঝড়-বজ্রবৃষ্টি
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে ওই রুটে যান চলাচল বন্ধ। এ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় এলাকার মানুষ রান্নাবান্না করতে না পারায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে চান্দনাইশ এলাকার সড়কে পানিতে টইটুম্বুর দেখা যায়। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক পানির নিচে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ইতোমধ্যে সড়ক দিয়ে যান চলাচল অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, পূর্ব বড় ভেওলা, বিএমচর, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, সাহারবিল, চিরিঙ্গা, ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী এবং পেকুয়া সদর, রাজাখালী, উজানটিয়া এবং চকরিয়া পৌরসভার সিংহভাগ এলাকা বর্তমানে ৮ থেকে ১০ ফুট বানের পানির নিচে রয়েছে।
এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার প্রায় তিন শতাধিক গ্রামের অন্তত সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। ঘরে ঘরে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এসব পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী কারাগারে হাজতির মৃত্যু
প্রসঙ্গত, সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২১৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এ সময় ২০৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আমবাগান আবহাওয়া অফিস।
সান নিউজ/এইচএন