আমিরুল হক, নীলফামারী : নীলফামারী সৈয়দপুরে বজ্রপাতের কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৬ পরিবারের ১৮টি ঘরসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়েছে।
আরও পড়ুন : সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবাটা গুরুত্বপূর্ণ
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বসতঘর পুড়ে যাওয়া এসব পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। এতে নগদ ১০ লাখ টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
স্থানীয়রা জানান, ওই সময় ঝড় ও বজ্রের সাথে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাতের একপর্যায়ে ওই গ্রামর অতুল চন্দ্র সরকার ও প্রদীপ চন্দ্র সরকারের বাড়িতে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন : ভারতে রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ মৃত্যু
আগুন মুহূর্তের মধ্যে পাশের বিপুল চন্দ্র সরকার, বিনয় চন্দ্র সরকার, বাবুল চন্দ্র সরকার, কমল চন্দ্র সরকার, রাজেন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ অন্যদের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে নীলফামারী সদরের উত্তরা ইপিজেড, সৈয়দপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগেই ১৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং তিনটির বেশির ভাগ অংশ আগুনে পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থতরা দাবী করেন, বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, ধান, চাল ও আসবাবপত্র সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একটি অটোভ্যান, ও ৪টি বাইসাইকেল, ছাগল, স্বর্ণালংকার, বই, জমির দলিলও ভস্মিভুত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন : সেই হেলমেটধারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে
পরের দিন সকলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রভাষক আব্দুল হাফিজ হাপ্পু ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য বাবু রঞ্জন কুমার সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপন্য এবং শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণ করেছেন।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার।
আরও পড়ুন : টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তির জামিন
এ সময় মোখছেদুল মোমিন তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের হাতে ২টি শাড়ি, ২টি লুঙ্গি খাদ্যসামগ্রী তুলেদেন। এ ছাড়া তিনি এ সব পরিবারের মাঝে নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি ভ্যান রিকশা, টিউবল স্থাপন, ডেউটিন, এনজিও’র মাধ্যমে বিভিন্ন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
সান নিউজ/এইচএন