নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে দেশের সব ধরনের পোশাক কারখানা আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা।
শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় গার্মেন্ট মালিকদের প্রতি কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য সব কারখানা মালিক ভাই-বোনদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
“একই সাথে শ্রমিক ভাই-বোনদের এটাও আশ্বস্ত করতে চাই যে, তারা তাদের মার্চের বেতন পাবেন। এটা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার কারণে কোনো শ্রমিক যাতে চাকরিচ্যুত না হন সবপক্ষকে এই অনুরোধটুকু করছি।”
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের সংগঠনভুক্ত সব কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সারা দেশে যখন অবরুদ্ধ অবস্থা চলছে, সেই সময়ে কারখানা খোলার ঘোষণায় বিভিন্ন জেলা থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকার পথ ধরেন হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক।
এই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা ঝড় শুরু হয়। শ্রম ঘন লাখ লাখ শ্রমিকের পোশাক কারখানায় অতি সংক্রামক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে কী হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ জানান অনেকে।
মালিকপক্ষের কারখানা চালু ও বন্ধের এই দুই সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার শ্রমিকের ঘর থেকে বেরিয়ে দলবেঁধে রাস্তায় চলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এর দায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
বাংলাদেশে বিজিএমইএর অধীনে ৩২০০ এবং বিকেএমইএর অধীনে ২২০০ কারখানা চালু আছে। এসব কারখানায় ৪০ লাখের মতো শ্রমিক কাজ করে থাকেন
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.