আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিম এশিয়ায় দিনে দিনে প্রায় সব দিক থেকেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ইরান অপর দিকে গত চার বছরের তুলনায় আমেরিকা আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ডেমোক্রেট দলের সিনেটর ক্রিস মারফি।
ক্রিস মারফি ইরানের সামরিক উপগ্রহ ‘নূর’ উৎক্ষেপণের ঘটনাকে দেশটির জন্য অনেক বড় সাফল্য উল্লেখ করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভুল নীতির কারণে ইরান দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
মার্কিন ডেমোক্রেট দলের এ সিনেটর আরো বলেন, বলতে বাধ্য হচ্ছি ট্রাম্পের নীতি আমেরিকার জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে এবং গত চার বছরের তুলনায় ইরান প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই শক্তিশালী হয়েছে এবং আমেরিকা দুর্বল হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মার্কিন সিনেটরের এ স্বীকারোক্তি থেকে বোঝা যায়, ইরানকে বাগে আনতে ট্রাম্প যতই সাফল্যের কথা বলুক না কেন তিনি আসলে কিছুই অর্জন করতে পারেননি। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ইসলামি সরকার ব্যবস্থাকে দুর্বল করার জন্য বহু রকমের চেষ্টা করেছেন। তিনি পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এ ছাড়া, তিনি সামরিক দিক দিয়েও ইরানকে চাপে রাখার জন্য গত বছর এ অঞ্চলের দেশগুলোকে নিয়ে যৌথ নৌবাহিনী গঠনের চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু মার্কিন হুমকির মোকাবেলায় ইরান শক্ত অবস্থান নিয়েছে এবং এ অঞ্চলে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় ইউরোপও তাদের প্রতিশ্রুতি পালন না করায় প্রতিশোধ হিসেবে ইরানও পরমাণু সমঝোতা থেকে সরে এসেছে এবং ফের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন এবং তিনি একটি নতুন চুক্তি মেনে নেয়ার জন্য ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন।’
আমেরিকার এ সিনেটর স্বীকার করেছেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে ট্রাম্প নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও কিছুই অর্জন করতে পারেননি বরং এতে করে আরো শক্তিশালী হয়েছে ইরান।
সান নিউজ/আরএইচ
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.