নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপি ও জামায়াতের ঘোষিত দেশজুড়ে অবরোধের আজ দ্বিতীয় দিন। এদিন গাবতলী এলাকায় গণপরিবহনগুলোকে স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করতে দেখা যায়। তবে অবরোধ আতঙ্কে সড়কে যান চলাচল করছে কম। যে কারণে পুরো এলাকা অনেকটাই ফাঁকা। এছাড়া অবরোধের কারণে বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ছে না দূরপাল্লার কোনো বাস।
আরও পড়ুন: ধিক্কার ছাড়া কিছু জুটবে না বিএনপির
আজ (বুধবার ১ নভেম্বর) ভোরে গাবতলী মোড় ও বাস টার্মিনাল ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই সড়কে চলাচল করছে গণপরিবহন। রাস্তায় বের হওয়া যাত্রীরা স্বাভাবিক দিনের মতোই বাসে চড়তে পারছেন। তবে যান চলাচল ও যাত্রী সংখ্যা কম। এছাড়া সড়কে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
সাভারগামী এক যাত্রী বলেন, আজ বাস পেতে তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি। দু-একটা রুটের বাস কিছুটা কম ছিল, কিন্তু সব ধরনের গাড়িই চলাচল করছে।
আরেক যাত্রী করিম বলেন, গতকাল যে একটা ভোগান্তি কাজ করেছিল, আজ তা কম। ঝামেলা ছাড়াই আজ বাসে চড়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সব রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে ডেকেছে ইসি
অভ্যন্তরীণ বাস চললেও গাবতলী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো দূরপাল্লার বাস। অধিকাংশ বাসের টিকিট কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। যাত্রীর সংখ্যাও হাতে গোনা দু-একজন। বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবরোধ আতঙ্কেই ছাড়া হচ্ছে না কোনো বাস। একই কারণে যাত্রীদের সংখ্যাও অনেক কম।
এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গগামী কমফোর্ট লাইন কাউন্টারের ম্যানেজার ইউসুফ আহমেদ বলেন, সকাল থেকে তো বাস ছাড়ার জন্যই বসে আছি। কিন্তু কোনো যাত্রীই তো আসছে না। ফলে দু-একটা কাউন্টার ছাড়া সব বাস বন্ধ আছে।
তিনি বলেন, অবরোধের কারণে যদি একটা বাস পুড়ে যায়, সেটা তো মালিকের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। তাই কেউ রিস্ক নিতে চাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: একনেকের ৩৭ প্রকল্পের অনুমোদন
গাবতলী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছেও কম, আবার ঢাকার বাইরে থেকে বাস প্রবেশের সংখ্যাও খুব সীমিত। কেবলমাত্র মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়াঘাটগামী সেলফি পরিবহনকে চলাচল করতে দেখা যায়।
তবে অবরোধ কর্মসূচির পক্ষে গাবতলী এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
সান নিউজ/ টিও