নিজস্ব প্রতিবেদক: বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসছে ঢাকার বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার। ঢাকার অভিজাত এলাকায় ৫টি ফ্ল্যাট, ৯ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাণিজ্যিক ভবনে জায়গা (স্পেস), ২টি প্লট ও ৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও চারটি দেশে তার সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ই-অরেঞ্জের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা দুটি তদন্ত করছেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, সোহেল রানার অর্থসম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ তার দেশে-বিদেশে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ফ্ল্যাটের তথ্য পেয়েছে। এবার আদালতের মাধ্যমে সোহেল রানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হবে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের কর্মকর্তারা জানায়, 'সোহেল রানা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হয় যে তিনি ই-অরেঞ্জের অপকর্মে জড়িত। তাঁর চতুর্থ স্ত্রী নাজনীন নাহার ও বোন সোনিয়া মেহেজাবিনকে টাকা দিয়ে ই-অরেঞ্জ চালাতেন।'
কর্মকর্তারা বলেন, 'শেখ সোহেল রানার গুলশানের শাহজাদপুরের সুব্যস্তু নজরভ্যালির ৩ নম্বর টাওয়ারে একটি ও গুলশান মডেল টাউনে একটি, নিকেতনে দুটি ফ্ল্যাট ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই ব্লকে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। গুলশানে একটি বাণিজ্যিক ভবনে ৯ কোটি টাকায় স্পেস কিনেছেন। বসুন্ধরা ও পূর্বাচলে দুটি প্লট এবং গুলশানে ও উত্তরায় তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া গেছে। ঢাকার বাইরে নিজ জেলা গোপালগঞ্জ ও খাগড়াছড়িতেও জমি কিনেছেন বলে জানা গেছে।'
এ ছাড়া থাইল্যান্ডের পাতায়ায় সুপারশপ, জমি ও ফ্ল্যাট, পর্তুগালের লিজবনে সুপারশপ, বার ও রেস্তোরাঁ, ফিলিপাইনের ম্যানিলায় বার এবং নেপালের কাঠমান্ডুতে বার ও ক্যাসিনো রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্থলপথে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
সান নিউজ/এমএইচ/এমকেএইচ