নিজস্ব প্রতিবেদক : অক্সফোর্ডের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এই অনুমোদনের ফলে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের ভ্যাকসিন দেশে আনতে আর কোনো বাধা থাকলো না।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভ্যাকসিন আমদানিতে বেক্সিমকোকে এনওসি দেয় অধিদফতর। এর আগে দুপুরে এনওসি চেয়ে আবেদন করে বেক্সিমকো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছি। তারা চাইলে এখন ভ্যাকসিন আনতে পারবে।
গত নভেম্বরে বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনার চুক্তি করে। জানুয়ারি মাসে তার প্রথম চালান ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, ভারতে শুধু বাণিজ্যিকভাবে ভ্যাকসিন বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সুতরাং আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে আমাদের চুক্তি হয়েছে সরকার টু সরকার। তাই আমাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে না।
এদিকে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়াল্লা বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘রবিবার ভারতীয় নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু শর্ত হলো, ঝুঁকিতে থাকা ভারতীয় জনগণের জন্য ডোজ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য রপ্তানি করতে পারবে না সিরাম ইন্সটিটিউট।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা তৈরির প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট। উন্নয়নশীল দেশগুলোর টিকা নিশ্চিতের জন্য এই সংস্থা বড় অবদান রাখতে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে দরিদ্র দেশগুলোর টিকা পেতে আরও কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হবে।
রবিবার ভারত দুটি টিকা প্রয়োগের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে এবং সিরামকে শর্ত দিয়েছে যে কয়েকমাসের জন্য তারা টিকা রপ্তানি করতে পারবে না।
পুনাওয়াল্লা জানান, বেসরকারি বাজারে এই টিকা বিক্রি করা হবে না। কারণ এটি হলে অবৈধ মজুদ হতে পারে। এই মুহূর্তে আমরা ভারত সরকারকেই শুধু টিকা দিতে পারি।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে- সেরাম ইন্সটিটিউটের সিইও যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ব্যক্তিগত। সেটা ভারত সরকারের কোনো পলিসি নয়। সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ভারত থেকে ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে এর আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আলাপ হয়েছে, বাংলাদেশ প্রথম ভ্যাকসিন পাবে। সুতরাং, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
সান নিউজ/এস