বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস
জাতীয়

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এই বার্ষিক উদযাপন জনসাধারণকে তামাক ব্যবহারের বিপদ, তামাক কোম্পানির ব্যবসায়িক অনুশীলন এবং বিশ্বজুড়ে মানুষ তাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থ জীবনযাপনের অধিকার দাবি করতে এবং সুরক্ষার জন্য কী করতে পারে সে সম্পর্কে জনসাধারণকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অবহিত করে।

আরও পড়ুন: রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও প্রতিবছর দিবসটি উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে ‘তামাকমুক্ত পরিবেশ, সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে।

জানা গেছে, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে লাইসেন্সের ওই বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি এখনও। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সরকারের নেওয়া ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’র খসড়ার ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত সংগ্রহ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। কার্যক্রমটি আর কতদিন চলবে সে সম্পর্কে ধারণা নেই কারও। নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ‘কাজ চলছে।’

আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকর্মীকে অবসরে যেতে বাধ্য করা যাবে না

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সবে মন্ত্রণালয়ে যোগদান করলাম। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।

সূত্র জানিয়েছে, সরকারের প্রাথমিক পরিকল্পনা হলো ২০৪০ সাল নাগাদ দেশে তামাকসেবীর হার পাঁচ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা। এটি করতে হলে তামাক উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও তামাকসেবীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। মূলত বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই তামাকপণ্য বিক্রিতে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার এমন পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কেউ বলছেন, তামাক কোম্পানিগুলোর স্বার্থেই একটি মহল সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত করছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, তামাকপণ্য বিক্রি ও বিপণন নিয়ন্ত্রণে দেশে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এ কারণেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের আশপাশের এলাকা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খাবারের দোকানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে তামাকপণ্য বিক্রি হচ্ছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকার খসড়া তৈরির মধ্য দিয়েই নীতিমালা করা সম্ভব হবে।

বলা হয়েছে, যাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে, তাদেরও সিগারেট, বিড়ি, জর্দা বিক্রির জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে। নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে এক বছর মেয়াদি ওই লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে। মুদি দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট তামাকপণ্য বিক্রি করতে পারবে না।

এসব বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’র খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। খসড়াটির ওপর এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, তামাকপণ্য বিক্রিতে একাধিক জায়গার জন্য একাধিক লাইসেন্স নিতে হবে।

আরও পড়ুন: চাদে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ১০০

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে এর আওতা আরও বাড়াতে পারবে। এই লাইসেন্স হস্তান্তরযোগ্য নয়। লাইসেন্সের একটি কপি অবশ্যই দৃশ্যমান অবস্থায় রাখতে হবে। বাংলাদেশে প্রস্তুত নয় বা সরকারের অনুমোদন নেই এমন বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, জর্দা, সাদাপাতা, গুল, নস্যি, ইলেকট্রনিক সিগারেট, তরল নিকোটিন, হিটেড টোব্যাকোতে সচিত্র সতর্কবাণী থাকতে হবে। এর অন্যথা হলেও তামাকপণ্য বিক্রি করা যাবে না।

নির্দেশিকার খসড়ায় বলা হয়েছে—১৮ বছরের নিচে কারও কাছে তামাকপণ্য বিক্রি করা যাবে না। সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ এ নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করবে।
আরও বলা হয়েছে, তামাকপণ্য প্রস্তুত হয় এমন চুল্লি বা কারখানাকেও লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশের ১০০ মিটারের মধ্যে ওই রকম কোনও কারখানার লাইসেন্সও দেওয়া হবে না।

অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ নেবেন।

প্রকাশ্যে ধূমপানের জন্য জরিমানার আইন থাকা সত্ত্বেও যত্রতত্র ধূমপান করতে দেখা যায় অনেককেই। পাবলিক প্লেসে ধূমপান যে আইনত অপরাধ তা স্বীকারও করেন অনেকে। তবে তাদের অনেকের প্রশ্ন- জরিমানাটা নেবে কে? কারণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের অনেক সদস্য পাবলিক প্লেসে হরহামেশা ধূমপান করছেন। শুধু পুলিশ নয়, স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা যায়।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে আইন প্রণয়ন করার পর শুরুর দিকে তা বাস্তয়ায়ন করতে পুলিশ কিছু অভিযানও চালিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর আইন অমান্য করে খোদ পুলিশের অনেক সদস্যই প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। আর এর সুযোগ নেয় জনগণও। এভাবে পুলিশ-জনতার দায়িত্বহীনতায় কেতাবি বিষয়ে পরিণত হয় ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন।

মূলত ধূমপান আইন মেনে না চলার প্রবণতা, জরিমানার পরিমাণ কম হওয়া এবং তামাক উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাপটের কারণে আইন প্রয়োগে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।

ধূমপায়ীদের কারণে অধূমপায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে নারীরা কর্মস্থলে ও নারী-শিশুরা পাবলিক প্লেসে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া সম্প্রতি নারীদের মধ্যেও ধূমপানের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের জানিয়েছেন, ‘অনেক দিন আগে শুনেছি। এতদিনেও সরকারের এ সিদ্ধান্তের কোনও অগ্রগতি সম্পর্কে আমরা অবগত নই। তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় আনার পদক্ষেপ অবশ্যই ভালো।

সান নিউজ/এনকে/এসআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

স্বাধীনতা দিবস ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ 

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

লক্ষ্মীপুরে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ 

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

পঞ্চগড়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু 

মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:...

রামগড়ে গাঁজাসহ আটক ১

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির রামগড়ে আট...

ত্রিশালে নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করছে কিশোর গ্যাং

মো. মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার...

রাজধানীতে শিশু অপহরণ, গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর হাজারী...

রিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মো....

গাজীপুরে ফের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর...

আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এল...

শাকিব খানের জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক: আজ ঢালিউড কিং শাকিব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা