জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ২০তম দিনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছে বিএনপি। সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দিনের শুরুতে চারটি সংস্থার নিয়োগ ইস্যুতে আলোচনা শুরু হয়। সেই আলোচনা থেকে ওয়াকআউট করে বিএনপি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২০তম দিনের মতো আলোচনা শুরু হয় সকালে। আলোচনার বিষয়বস্তু সরকারি কর্মকমিশন, দুদক, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান। আলোচনায় অংশ নেয়নি বিএনপি।
আলোচনার শুরুতে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, আজকের মধ্যে জুলাই সনদের খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। এখনো সনদ চূড়ান্ত হয়নি। যেখানে সনদের প্রেক্ষাপট ও পটভূমি থাকবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য ঠিক করার মতো অনেক মৌলিক বিষয়ে আলোচনা হলেও সমাধান হয়নি।
এদিকে ওয়াকআউটের পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আমরা সাময়িক সময়ের জন্য ওয়াকআউট করলাম। কারণ, আমরা বলেছিলাম, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্যে কমিটি করা এবং এটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতার সৃষ্টি হবে। যাতে সাংবিধানিক এবং সংসদীয় কোনোভাবেই স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার উদ্ভব না হয়, ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি না হয় সেজন্য আমরা ৩টি জায়গায় ব্যবস্থা রেখেছি।
তিনি বলেন, এই তিনটি জায়গার মধ্যে দিয়ে এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি হবে যাতে কোনোভাবেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুযোগ থাকবে না। এ ছাড়াও বিচার বিভাগের সংস্কার, যেটার জন্যে আমরা চেষ্টা করছি এবং আস্তে আস্তে সেগুলো হয়ে যাচ্ছে। সেটি হলে সেগুলোও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। ফ্রিডম অব প্রেস প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলা যায়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এতগুলো রক্ষাকবচ থাকা সত্বেও আমরা নির্বাহী বিভাগকে প্রপারলি ফাংশন করতে কেন দেবো না? আমরা মনে করেছি, জনগণের নির্বাহী বিভাগের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে, কিন্তু সরকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে পর্যাপ্ত অথরিটি থাকবে না, সেটা ঠিক হবে না। এজন্য সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে কমিটি না করে শক্ত আইন করা হোক।
সাননিউজ/এসএ