ভলোদিমির জেলেনস্কি
আন্তর্জাতিক

মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করবো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। আগ্রাসনের শুরু থেকে রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বহু শহরে দফায় দফায় হামলা চালালেও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাসভবন এবং তার সদর দপ্তরে আক্রমণ হয়নি।

আরও পড়ুন: দ্বিমুখী আচরণ, আস্থা হারিয়েছে বিএনপি

তবে যদি হামলা হতো তাহলে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতেন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এমনকি এর প্রস্তুতি হিসেবে সাথে করে একটি পিস্তলও রাখেন তিনি। রোববার (৩০ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের সাথে পিস্তল বহন করেন এবং যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ানরা কিয়েভে তার সদর দপ্তরে হামলা চালালে তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতেন বলে শনিবার (২৯ এপ্রিল) প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন।

১+১ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি জানি কিভাবে গুলি চালাতে হয়। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন- ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রুশরা বন্দী করে নিয়ে গেছে?’ এটি খুবই অপমানজনক। আমি বিশ্বাস করি, এটি অসম্মানজনক হবে।’

আরও পড়ুন: কেন্দ্র পরিদর্শনে শিক্ষামন্ত্রী

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আক্রমণের পর প্রথম দিনগুলোতে রাশিয়ার গোয়েন্দা ইউনিটগুলো রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।

এমনকি কিয়েভের কেন্দ্র বলে পরিচিত ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটে পৌঁছতেও ব্যর্থ হয় রাশিয়ানরা। আর এই ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাসভবন অনুষ্ঠিত।

রয়টার্স বলছে, একপর্যায়ে অন্যান্য রাশিয়ান ইউনিট কিয়েভের উপকণ্ঠে আক্রমণ শুরু করে, কিন্তু সেখানেও তারা অগ্রসর হতে পারেনি। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সেসময় শহরের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি ব্যর্থ নাশকতার প্রচেষ্টার কথাও জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা

সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তারা (রুশ সেনা বা গোয়েন্দারা) যদি প্রশাসনের ভেতরে ঢুকে যেত, তাহলে আমরা এখানে থাকতাম না।’

অবশ্য ইউক্রেনের লড়াইরত এই প্রেসিডেন্ট রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর ঠিক কোন ইউনিটের কথা বলছেন, তা স্পষ্ট নয়।

জেলেনস্কি বলছেন, ‘(রাশিয়ার বাহিনী) কাউকে বন্দি করতে পারত না কারণ আমরা ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটের প্রতিরক্ষা খুব গুরুত্ব সহকারে প্রস্তুত করেছি। আমরা শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতাম।’

আরও পড়ুন: ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট পিস্তল সাথে রাখেন কিনা এবং সেটি ব্যবহার করার অনুশীলন করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, তিনি সেটি করেছিলেন।

তবে শেষমেষ রাশিয়ার সেনাদের হাতে ধরার পড়ার পরিবর্তে আত্মহত্যার জন্য পিস্তলটি ব্যবহার করতে পারেন, এমন ধারণা খারিজ করে দেন তিনি। জেলেনস্কির ভাষায়, ‘না, না, না। এটা আমার (নিজেকে গুলি করা) নয়। অবশ্যই (শত্রুদের দিকে) পাল্টা গুলি করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।

পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ইসলাম...

বাগেরহাটের কলার বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের ঘটনা

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যার ঘটনা এমন মন্তব্য কর...

একীভূত হচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি

সম্প্রতি গুঞ্জন উঠে দেশের তরুণদের নিয়ে গঠিত দল দুইটি একীভূত হওয়ার বিষয়ে। তবে...

শাপলা নয় এনসিপিকে বালতি-বেগুনসহ ৫০ প্রতীকের অপশন

শাপলা প্রতীক নয় বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এন...

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯৬

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এইডস ম...

আ. লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজ...

লুটপাটের ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা 

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধ...

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক, নিরাপত্তার দাবি জামায়াতের

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করার ঘটনায় ইসরায়েলের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার তীব্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা