আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি নাগরিক তৃণমূলের প্রার্থী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর (দক্ষিণ) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আলোরানি সরকার। যদিও ভোটে হেরে যান তিনি। ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী স্বপন মজুমদার জয়ী হন। তবে আলোরানি হেরে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আরও পড়ুন: ট্রাক কেড়ে নিল আরও দুই প্রাণ

সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার (২০ মে) আদালতে স্বপন মজুমদারের আইনজীবী জানান, আলোরানি বাংলাদেশের নাগরিক। এ বিষয়ে আদালতে তথ্যপ্রমাণও দেন তিনি। মামলাকারী আলোরানি সেই তথ্যের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।

এতে কলকাতা হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার (২০ মে) ধরা পড়লো আরেক বাংলাদেশি নাগরিক। তখনই বিচারপতি সব দেখে জানান, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে কোনো ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না। সেটা বেআইনি। এটা জরুরি ভিত্তিতে দেখতে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দেয় আদালত।

বিচারপতির নির্দেশ, হাইকোর্টের নির্দেশ কপি পাঠাতে হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। একই সঙ্গে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তৃণমূল প্রার্থীর দু'দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। মামলাকারী নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না।

আরও পড়ুন: বিএনপির সাথে বসবে নির্বাচন কমিশন

প্রসঙ্গত, একইদিনে কলকাতা হাইকোর্টে পরপর দুটি ধাক্কা ফেল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে ২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি অভিনেতাদের দিয়ে ভোটের প্রচার করে বিপাকে পড়েছিল শাসকদল। এছাড়া সম্প্রতি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার নামে বাংলাদেশের আলোচিত এক দুর্নীতিবাজকে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসের সুযোগ দিয়েছে রাজ্যটির শাসক দল। যদিও এ বিষয়ে শাসকদলকে এখনও কাঠগড়ায় দাঁড় করায়নি আদালত।

এছাড়া একইদিনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয়ে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৮ সালে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি’র) মাধ্যমে শিক্ষিকার চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। প্রার্থীদের তালিকায় নাম না থাকলেও তিনি চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা নিয়ে মামলা করেন ববিতা বিশ্বাস নামে অপর চাকরিপ্রার্থী।

আরও পড়ুন: ফের আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে

জানা যায়, ববিতার নাম বাদ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর মেয়েকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে ববিতা দাবি করেন, স্টেস লেভেল সিলেকশনে তিনি ৭৭ নম্বর পেয়েও তিনি রাজ্য সরকারের কাছে চাকরির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হননি। কিন্তু, ৬১ নম্বর নিয়ে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী।

শুক্রবার ববিতার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে বলা হয়েছে, গত ৪১ মাস ধরে চাকরি করেছেন অঙ্কিতা। এসময় তাঁর প্রাপ্ত বেতনের পুরোটাই ফেরত দিতে হবে। অঙ্কিতা এবং তার প্রতিনিধি ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে যেতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সান নিউজ/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ঝালকাঠি নার্সিং কলেজে অচল অবস্থা!

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি নার্সি...

লক্ষ্মীপুরে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা স্কিম চালু

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে...

অবৈধ ইটভাটায় হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

রংপুর ব্যুরো: রংপুর জেলাসহ বিভাগে...

মোস্তফা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

ভোলায় বঙ্গবন্ধু সেজেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

ভোলা প্রতিনিধি: শ্রদ্ধা ও ভালোবাস...

স্বর্ণের দাম কমল

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ানোর প...

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি : খুলনায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে...

বাড়তি ভাড়া নিলে সেই পরিবহন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণ...

সাকিবের বিষয়টি জানা ছিল না

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য সাকিব আ...

স্বাস্থ্যখাতে কথা কম, কাজ বেশি হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা