আন্তর্জাতিক

দুই দশকে ৩০ হজার মার্কিন সেনার আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধে যত মার্কিন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন, তার চেয়ে বেশি মারা গেছেন আত্মহত্যা করে। ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশ নেওয়া মার্কিন সেনাদের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এই দুই দেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের যুদ্ধে সেনাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। এ ছাড়া যুদ্ধে সাধারণ মানুষ হত্যা, নির্যাতন, ধ্বংসযজ্ঞ, সেনা কর্মকর্তাদের খারাপ ব্যবহার ও অন্যান্য কারণে হতাশা ও অনুশোচনা থেকেই মার্কিন সেনারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।

সাম্প্রতিক ব্রাউন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।

গবেষণায় বলা হয়, যুদ্ধের ময়দানে যত মার্কিন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন, তার চেয়ে অন্তত চারগুণ বেশি মারা গেছেন আত্মহত্যা করে। বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

গবেষণায় দেখা গেছে, গত ২০ বছরে দায়িত্বরত ও অবসরপ্রাপ্ত মিলিয়ে আনুমানিক ৩০ হজার ১৭৭ জন মার্কিন সেনা আত্মহত্যা করেছেন। বিপরীতে যুদ্ধের ময়দানে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৭ জনের। আত্মহত্যাকারী মার্কিন সেনাদের মধ্যে প্রবীণের সংখ্যা অন্তত ২২ হাজার ২৬১ জন। আর ‘অ্যাকটিভ ডিউটি মেম্বার’ হিসেবে আত্মহত্যা করেছেন ৫ হাজার ১১৬ জন। ন্যাশনাল গার্ড ও রিজার্ভ বাহিনীর প্রথম ১০ বছরের হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গার্ডের ১ হাজার ১৯৩ জন এবং রিজার্ভের ১ হাজার ৬০৭ জন নিজের প্রাণ নিয়েছেন।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, আত্মহত্যার এই প্রবণতা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। প্রবীণ এবং সক্রিয় সেনা উভয়ের আত্মহত্যার ক্রমবর্ধমান হার সাধারণ জনগণের আত্মহত্যার হারকেও চেয়ে ছাড়িয়ে গেছে।

প্রতিবেদনের লেখক থমাস ‘বেন’ সুট এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রতিবেদনে আত্মহত্যা করা সেনা ৩০ হাজার ১৭৭ জন বলা হলেও এর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। তার বিশ্বাস, জনসাধারণের অবহেলাই প্রবীণ সেনাদের আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ। এর বাকি কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধিতে মানসিক আঘাত, আঘাতজনিত মানসিক চাপ এবং আত্মহত্যাপ্রবণতার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মানসিক কারণ।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অনেক সেনাই প্রয়োজনমতো চিকিৎসা পান না। এছাড়া, চাকরি হারানোর ভয়ে অনেকেই মানসিক সমস্যার কথা গোপন করেন। এগুলো তাদের আত্মঘাতী আচরণের প্রতি আরও অরক্ষিত করে তোলে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এক মুখপাত্র বলেছেন, এ ধরনের আত্মহত্যাপ্রবণতা প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

বাগেরহাটের কলার বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ইসলাম...

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের ঘটনা

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যার ঘটনা এমন মন্তব্য কর...

একীভূত হচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি

সম্প্রতি গুঞ্জন উঠে দেশের তরুণদের নিয়ে গঠিত দল দুইটি একীভূত হওয়ার বিষয়ে। তবে...

শাপলা নয় এনসিপিকে বালতি-বেগুনসহ ৫০ প্রতীকের অপশন

শাপলা প্রতীক নয় বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এন...

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯৬

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এইডস ম...

আ. লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজ...

লুটপাটের ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা 

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধ...

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক, নিরাপত্তার দাবি জামায়াতের

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করার ঘটনায় ইসরায়েলের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার তীব্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা