ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য

পর্যটক শূন্য কক্সবাজার, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

এম এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার: কক্সবাজারের অর্থনীতি পর্যটন নির্ভর। পর্যটক সমাগমের ওপরই পর্যটন সংশ্লিষ্ট এই শিল্পের অন্তত ২১ ধরণের ব্যবসা সচল থাকে শহরটিতে।

আরও পড়ুন: দগ্ধ ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন

রমজান মাস হওয়ার কারণে বর্তমানে কম সংখ্যক মানুষ বেড়াতে আসছেন দেশের অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। ফলে মৌসুম শেষ না হলেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এই শিল্পখাতে।

কক্সবাজারে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ৪ শতাধিক রেস্তোঁরা রয়েছে। পর্যটক কমে যাওয়ায় ৯০ শতাংশ হোটেলেরই কক্ষ খালি যাচ্ছে এখন।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ হোটেল কক্ষ ফাঁকা। তারকা মানের হোটেলগুলোতে পর্যটক নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসে পর্যটক শূন্যতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন: তেল কিনবে সরকার

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, এখন প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেলের কক্ষ খালি রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। সামনে পর্যটকদের আনোগোনা আরও কমে যাবে।

তারপরও যারা বেড়াতে আসবেন তাদের জন্য হোটেল কক্ষের ওপর ৬০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে। এক থেকে দেড় হাজারের মধ্যে যেকোনো ধরনের কক্ষে থাকতে পারবেন পর্যটকরা।

কয়েকজন হোটেল মালিক বলেন, রমজানে খুবই অল্প সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। অনেকের কক্সবাজার আসার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের কারণে তারা আসতে পারেন না। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে হোটেল-মোটেল কক্ষে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়।

আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজটি গারাকাড উপকূলে

প্রতিবছর রোজার একমাস শহরের অনেক হোটেল-রোস্তারাঁ অঘোষিতভাবে বন্ধ থাকে। এ সময় কর্মচারীদের এক মাসের বেতন-বোনাস দিয়ে ছুটিতে পাঠানো হয়।

কেউ কেউ হোটেল-রেস্তোরাঁতে সংস্কার ও রঙের কাজ করেন। ঈদের সময় হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পুনরায় খোলা হয়। গত বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৮ মার্চ পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো ব্যবসা ভালো হলেও রমজান মাসের মন্দা সামলাতে প্রস্তুত সবাই।

সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা বলেন, মালিকপক্ষ কোনোমতে জমানো টাকা দিয়ে রমজান মাস কাটিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু কষ্টে থাকবে কর্মচারীরা।

আরও পড়ুন: পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প

সৈকতে বিচ বাইক চালক কলিম উল্লাহ বলেন, সৈকতে পর্যটক না থাকলে আমরা বিচ বাইক নিয়ে সৈকতে নামতে পারি না। বাসায় বসে থাকতে হয়। রমজান মাসে পর্যটক থাকবে না। আমাদের বাসায় বসে অবসর সময় কাটাতে হবে। এ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত।

ওয়ার্ড বিচ রিসোর্টের হোটেল ব্যবসায়ী রাকিব আমির বলেন, পর্যটন মৌসুমে ভালো ব্যবসা হয়েছে। কিছু টাকা জমানো আছে, তা দিয়ে রমজান মাসের খরাটা পুষিয়ে নেব।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, এখন অফ সিজন, তাই পর্যটক কম। ঈদ থেকে আবারও সিজন শুরু হবে। তখন প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটবে। সে জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

লক্ষ্মীপুরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা-ভাংচুর 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে...

কানে ‘গোলাপী রানি’ উর্বশী

বিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্র জগতের সবচ...

আগুনে শতাধিক ঘর-দোকান ভস্মীভূত

জেলা প্রতিনধি : গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় আগুনে তিনটি কলোনির...

দেশ ছাড়ল বাংলাদেশ দল

স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্ব...

সংলাপে বসতে প্রস্তুত রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছ...

হামলাকারী ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল...

বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কাজে দেয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির দেশবিরো...

ডাল কিনছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা