মাদারীপুরে শ্বশুরবাড়িতে দীপ্তি মণ্ডল (২১) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের আমিরাবাদ এলাকার বাদামতলা মণ্ডল বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী তাপস মণ্ডল ও শাশুড়ি সরস্বতী মণ্ডল পলাতক রয়েছেন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে রবিবার নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহত দীপ্তি মণ্ডল শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর হিন্দুকান্দি গ্রামের প্রদীপ মণ্ডলের মেয়ে। তিনি মাদারীপুর পৌর এলাকার বাদামতলার তাপস মণ্ডলের স্ত্রী। তাপস মণ্ডল স্থানীয় আদালতে মুহুরি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের পরিবার জানায়, বিয়ের পর থেকেই দীপ্তিকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত তার স্বামী তাপস ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। শনিবার বিকেলে নির্যাতনের পর পরিকল্পিতভাবে দীপ্তিকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা।
নিহতের বাবা প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে মারধর করা হতো। যৌতুক না দেওয়ায় প্রায়ই পারিবারিক কলহ হতো। শনিবারও তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে তাপস ও তার মা পালিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।
সাননিউজ/আরপি