নিজস্ব প্রতিবেদক: সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানা এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। তাছাড়া পাচার হওয়া অর্থ বিদেশে থেকে ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট আবেদন করেন।
আবেদনে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীর চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীত ও বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়।
সান নিউজ/এসএস