সান নিউজ ডেস্ক: বহু বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক। ব্রিটিশ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।যুক্তরাজ্য প্রবাসী এসব বাংলাদেশির সম্মানে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো লন্ডনের কোনো স্টেশনের নাম লেখা হলো বাংলা ভাষায়।
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্ত মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে
শুক্রবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ফেসবুকে লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন।
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশিদের জন্য অন্যরকম প্রাপ্তি। এই প্রথম লন্ডনের কোনো ট্রেনস্টেশনের নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লেখা হলো। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
এর আগে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সব সংকেত ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায় লিখতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। লন্ডনের মেয়রের সাদিক খানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই আবেদন জানান টাওয়ার হ্যামলেটের মেয়র জন বিগস। চিঠিতে তিনি পূর্ব লন্ডনে বসবাসকারী বৈচিত্র্যময় মানুষদের কথা উল্লেখ করে সিটি হল ও টিএফএলের (ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন) সংকেতগুলোকে দ্বিভাষিক করার অনুরোধ জানান।
জন বিগস বলেন, (লন্ডনে বসবাসকারী) বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হোয়াইটচ্যাপেল। সাউথলে এরই মধ্যে দ্বিভাষিক সংকেত বসানো হয়েছে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সংস্কৃতি চিহ্নিতকরণ এবং তাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্য প্রতিফলিত করতে হোয়াইটচ্যাপেলে অনুরূপ কিছু করলে তা স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: খাদ্যঝুঁকিতে গোটা বিশ্ব!
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইস্ট লন্ডন অ্যাডভার্টাইজারের খবর অনুসারে, টাওয়ার হ্যামলেট মেয়রের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের মতো লন্ডনের বিখ্যাত সিটি হলেও বাংলা সংকেতের বিষয়টি বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, লন্ডন উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের রাজধানী শহর। শহরটি গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ইংল্যান্ড নামক প্রশাসনিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে টেমস নদীর তীরে অবস্থিত। বিশাল এই মহানগরীতে প্রায় ৮৮ লক্ষ লোকের বাস। এটি ইংল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম শহর। যুক্তরাজ্যের ১৩ শতাংশের বেশি লোক লন্ডনে বাস করে। ১৭শ শতক থেকে আজ পর্যন্ত লন্ডন ইউরোপের বৃহত্তম শহর। ১৯শ শতকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী নগরী ছিল। সেসময় শহরটি সুবৃহৎ ও সমৃদ্ধিশালী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যর কেন্দ্রবিন্দু ছিল। যদিও লন্ডন বর্তমানে আর জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরগুলির একটি নয়, তা সত্ত্বেও এটি বিশ্বের প্রধানতম আর্থ-বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক রাজধানী শহরগুলির একটি হিসেবে পরিগণিত হয়।
সান নিউজ/এনকে