রংপুর ব্যুরো: রংপুর নগরীর চারতলা মোড় এলাকায় টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন এস এম মঞ্জুর মোর্শেদ লিংকন নামের এক ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড়
নিজ বাড়ির ছাদে রেস্টুরেন্ট হওয়ায় বাসায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল রেখে খুব সহজে চাতুরতার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন তিনি। ওই রেস্টুরেন্টে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেয়েছে গোয়োন্দা পুলিশ। অবশেষে রেস্টুরেন্টের মালিকসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- রংপুর নগরীর কলেজ রোডের চারতলা মোড়ের কাশেম টাওয়ারের স্বত্ত্বাধিকারি এস এম মীর কাশেমের ছেলে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্টের মালিক এস এম মুঞ্জুর মোর্শেদ ওরফে লিংক (৫১), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার বাগডাঙ্গা এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মাসুদ রানা (৩২), রংপুর নগরীর আশরতপুর পার্কের মোড় এলাকার মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে সামিউল আলম ওরফে রতন (৩২), নগরীর ধর্মদাস মিলন পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন (৩৫) ও নগরীর শালবন এলাকার আব্দুল মালেক ব্যাপারীর ছেলে শিপন মিয়া (২৭)।
আরও পড়ুন: টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
তিনি জানান, এস এম মুঞ্জুর মোর্শেদ ওরফে লিংকন চারতলা মোড় এলাকায় অবস্থিত নিজ ৬ তলা ভবনের ছাদে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার আড়ালেই অধিক লোভের আশায় মাদকের কারবারও শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দাম বেশি নিলে ৩৩৩ নম্বরে ফোন
এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (১৪ জানুয়ারি) টুইন রেস্টুরেন্টে হানা দেয় রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয়কালে হাতেনাতে তাকেসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১৬৩ পিস ইয়াবা ও ৪১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রংপুর নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্টে ব্যবসার আড়ালে এক শ্রেণির অসাধু চক্র মাদকের কারবার করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্টে অনেক তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযান পরিচালনা করে ৫ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আরও কেউ বা অন্য কোনো রেস্টুরেন্টের যোগসূত্র আছে কি না বা এখান থেকে কারা মাদক ক্রয় বিক্রয় করে, সেগুলো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সান নিউজ/এনজে