নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে কাকরাইল, মালিবাগ ও কমলাপুরের ৩টি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : বিএনপির মহাযাত্রা এখন পতনযাত্রা
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বলেন, বিকেলে মৌচাক ফ্লাইওভারে বলাকা বাসে ও কমলাপুরে বিআরটিসি বাসে আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। আগুনে বাস দুটি পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে কাকরাইল মোড়ে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, কাকরাইল মোড়ে একটি বাসে আগুনের ঘটনা শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সেই তথ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন : কাল সারা দেশে হরতাল
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। পরে নয়াপল্টন এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে আজ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
সান নিউজ/এমআর