জাতীয়

কাজ নেই লেবার হাটে

জাহিদ রাকিব

দেশে করোনার প্রকোপ রোধে বেড়েছে দফায় দফায় লকডাউন। সব কিছুতে থমকে যাওয়ার পরিস্থিতি। আর এতে সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন নগরীর দিনমজুর পেশার মানুষ। লকডাউনের প্রভাব পড়েছে তাদের দৈনন্দিন জীবনে। এক সময়ের স্বল্প আয়ের সুখী পরিবারগুলো এখন অনিশ্চয়তা-অসচ্ছলতায় দিন কাটাচ্ছেন। পড়েছেন মহা-আর্থিক সংকটে। এমন ভয়ঙ্কর সংকট স্বাভাবিক হতে কতদিন লাগবে সেটাও অনিশ্চিত।

দিন যত যাচ্ছে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা যেন তত বাড়ছেই। যারা আগে অন্য কোন পেশায় জীবন ধারণ করতেন। করোনা তাদের জীবনকে এলোমেলো করে দিয়েছে। কর্ম হারিয়ে কেউ কেউ তার পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন কাজ।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) লকডাউনে রাজধানীর মহাখালী লেবার হাটে সরেজমিনে ঘুরে খেটে খাওয়া এসব মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের করুন পরিস্থিতির কথা। এমন দিন মজুর শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি তাদের কর্মক্ষেত্র।

মহাখালীর রেলগেট ঘেষে প্রতিদিন বসে লেবার হাট। আর এই হাটে কথা হয় রাজমিস্ত্রীর কাজ করা কবির হোসেনের সাথে। কবির হোসেন থাকেন সাততলা বস্তিতে। দীর্ঘ লকডাউনে একদিনের জন্য কোথাও কাজ করতে পারেন নাই। ২০ বছর ভোর ৬টা থেকে এই লেবার হাটে বসেন। লকিডাউনের আগে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও তিনি কাজ করতেন।

পাশে অন্য শ্রমিক আলম বলেন, আগে এমন সব স্থানে দাঁড়ালে ঠিকাদাররা তাদেকে দিন চুক্তিতে ৭০০-১০০০ টাকায় নিত। কিন্তু এখন করোনার কারণে কোন ঠিকাদার কাজ শুরু করছেন না। ফলে তাদের মতো অনেক রাজমিস্ত্রী আর হেলপার কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

শাহজাহান মিয়া বলেন, ঈদের আগ থেকে কোন কাজ নাই, দুইদিন ধরে কোন খাবার খাইতে পারি নাই। অন্য মানুষ থেকে ধার-দেনা করে কোন রকম বেঁচে আছি। লকডাউন থেকে আমরা সবাই সকালে আসি দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করি। কাজ না পাইলে আবার চলে যায়।

মহাখালী এই লেবার হাটে যারা আসেন তারা সবাই সাততলা বস্তির বাসিন্দা। তারা অভিযোগ করে বলেন, তাদের কেউই সরকার থেকে কোন ত্রাণ পাই নাই।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি রয়েছে। গত বছর দীর্ঘ লকডাউনে জীবিকা হারিয়েছেন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে যে দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশের মতো ছিল, সেটা বেড়ে এখন ৪০-৪১ শতাংশ হয়ে গেছে। তার মানে, গরীব মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। নতুন কোনো চাপ নেওয়ার ক্ষমতা এখন নিম্ন আয়ের মানুষের নেই।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারের প্রধান ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম।

তিনি বলেন, লকডাউনে যেসব গরীব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সরকারের উচিত তাদের সহযোগিতা করা। এমন উদ্যোগ না নিলে সমাজে আরও বৈষম্য বাড়বে, একই সঙ্গে বাড়বে দেশে গরীবের সংখ্যা।

সান নিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কর্মস্থলে না এসেও বেতন তোলেন শিক্ষক

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আস...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (১৮মে) বেশ কিছু খেল...

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশ রক্ষায় অবৈধ চাই ধ্বংস 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় মেঘনা নদী থ...

মুন্সীগঞ্জে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোটগাঁ...

রেড কার্পেটে নিজের তৈরি পোশাকে ন্যান্সি

বিনোদন ডেস্ক: ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী। ক...

বিদেশি মদসহ গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ডেমরায়...

৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৬ষ্ঠ উপজেলা পরি...

আসাম ভাষা দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐতিহাসিক (১৯ মে...

ভোলায় উপকূলজুড়ে কোস্টগার্ড মোতায়েন  

ভোলা প্রতিনিধি: আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা