উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে সামনের দিকে।আর এই পথ চলায় পুরুষের সাথে সাথে নারীও এগিয়ে চলছে সমান তালে। নারীদের এই পথচলা শুধু দেশের মধ্যেই আর সীমাবদ্ধ নয় ,বিদেশের মাটিতেও তাঁরা বিভিন্ন কাজে দেখাচ্ছে নিজেদের দক্ষতা। তবে বিদেশে বাংলাদেশ থেকে যেসব পেশায় নারীরা যাচ্ছে ,তার মধ্যে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছে বেশি। আর সৌদি আরবেই যাচ্ছে বেশির ভাগ নারী শ্রমিক।
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত নারীর সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৬৬ হাজার। এর মধ্যে শুধু সৌদি আরবেই রয়েছেন ৪ লাখের উপর। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গৃহ খাতে কর্মী নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সৌদি সরকারের একটি চুক্তি হয়।এ চুক্তি অনুযায়ী নারীরা বিনা খরচে সৌদি আরব যেতে পারেন। এসব নারীর বেতন ৮০০ রিয়াল বা ১৭০০০ টাকা। আর মেয়াদকাল দুই বছর। এ চুক্তির অধীনে ৩ লাখের মতো নারী শ্রমিক সৌদি আরব গেছেন।
সাধারনত ২৫ থেকে ৪৫ বছরের নারী, গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে যান,আর তারা মূলত অসচ্ছল এবং স্বামী পরিত্যক্ত। নারী শ্রমিক প্রেরনের আগে অবশ্যই তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হবে। কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রবাসে র্কমরত নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেনা। আর প্রবাসে এই সব নারীরা বেশিরভাগ শারীরিক ,মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাদের মুখ থেকেই শোনা-ঠিকমতো খেতে দেয়া হয় না এবং বেতন চাইলে অনেক সময় র্নিযাতনের শিকার হতে হয়।
এখানে দেখার বিষয় যে কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারী শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছেন।সেসব বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে।
বিদেশে নারী শ্রমিক পাঠানোর আগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
বিদেশে নারী শ্রমিক পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্টদের আরও সতর্ক হতে হবে। ।কোনোভাবেই কোনো নারী যেন দালালের খপ্পরে না পড়েন সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
১. সৌদিতে নারী শ্রমিক পাঠানোর আগে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে প্রথমেই খতিয়ে দেখতে হবে।এরপর বেতন,বোনাস এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার বিষয়েও সুস্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।
২. বাংলাদেশের দূতাবাসের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। বিদেশের মাটিতে কর্মরত কোনো নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলে তাকে দ্রুত আইনি সহায়তা প্রদান করতে হবে।
৩. নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি যদি সরকারি পর্যায়ে আলোচনায় গুরুত্ব পায়,তাহলে অবস্থার পরিবর্তন হবে।