নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে মিথ্যাচারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের কোনো সুযোগ নেই। তার (প্রধানমন্ত্রী) অর্জন ও অবদানকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ৫ দিনের রিমান্ডে
বুধবার (১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত মিথ্যাচার’ অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এই দেশে গণতন্ত্রের উন্মেষ, বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা যতটুকুই হয়েছে তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। বিএনপি নিজেদের গণতন্ত্রকামী শক্তি হিসেবে দাবি করলেও মূলত তারা গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী একটি অপশক্তি। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিএনপি প্রধান শত্রু মনে করে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ধাওয়ায় যুবদল নেতার মৃত্যু
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি শুধু সন্ত্রাস চালিয়েই ক্ষান্ত নয়, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মাধ্যমে তথ্য-সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে তারা। এখন ব্যর্থ আন্দোলন নিয়ে বিদেশি প্রভুদের করুণা লাভের চেষ্টা করছে তারা। এ যুগে একজনকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা সাজিয়ে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল ও দেশ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল; যা জাতির সঙ্গে নির্লজ্জ প্রতারণা ও তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে চরম বেইমানি।
সেতুমন্ত্রী জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস বিএনপির রাজনীতির মূল অস্ত্র। বিএনপি এখন তথাকথিত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের আড়ালে পুনরায় সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। ২৮ অক্টোবর তথাকথিত সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত তাণ্ডবলীলা গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও সংবাদের মাধ্যমে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। বিএনপি নেতারা সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করছেন।
আরও পড়ুন: মাওলানা রফিকুল ইসলাম আটক
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন প্রেসের ভেস্ট পরে গাড়িতে আগুন দিয়েছিল; কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ দায় গোয়েন্দা পুলিশের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে তাদের। লালমনিরহাটে তাদের নারকীয় হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম শাহাদত বরণ করেছেন, তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে একজন নিরীহ পরিবহণ শ্রমিক নাইম অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়াও সারা দেশে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী আহতও হয়েছেন। তারপরও আমরা দেখেছি, তথাকথিত ৭২ ঘণ্টা অবরোধের নামে নৃশংস হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসন্ত্রাসের মহোৎসবে মেতে উঠেছে বিএনপি।
সান নিউজ/এএ