নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: খুলনার পাইকগাছায় পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে নৌকা সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ প্রায় ২৫ জন কর্মী সমর্থককে কুপিয়ে আহত করেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি, ঘর ও মটরসাইকেল। আহতদের পাইকগাছার বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে সোলাদানার বেতবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার সকালে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম এনামুল হকের পোস্টার লাগাতে গেলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীর কর্মী-সমর্থকরা তাতে বাঁধা প্রদান করেন এবং পোস্টার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুলকে জানালে তিনি তার কয়েকজন কর্মী নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা এ সময় অতর্কিতভাবে তাদেরকে ধাওয়া করলে সোলাদানার বেতবুনিয়া গ্রামের লাভলু গাজী ও তার বোন মনিরার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজী, রবি গাজী, আবু সাইদ কালাইয়ের নেতৃত্বে প্রায় তিন-চারশ’ লোক লাভলু ও মনিরার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল, কিশোর কুমার মন্ডল, মুজিবুর রহমানকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। চেয়ারম্যান এনামুলের কর্মী-সমর্থকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ধাওয়া করে পিটিয়ে আহত করে। আহত চেয়ারম্যান এনামুল হক, শামীম ও কিশোরকে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। গুরুত্বর আহত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সময় অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আহতদের পাইকগাছা হাসপাতালে আনার সময় পথে পথে বাঁধা দেয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশ প্রহরায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহে গেলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে জানা যায়।
পাইকগাছা থানার ওসি এজাজ শফী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়া হয়েছে এবং এ ঘটনা স্থানীয় হাফিজুর রহমান, রফিক ও অহেদ আলীকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, এ বিষয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার করা হচ্ছে বলে জানান।
সান নিউজ/কেএ/কেটি