ছবি : সংগৃহিত
আন্তর্জাতিক

পদত্যাগ করছেন স্কটল্যান্ডের সরকারপ্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কটল্যান্ডের সরকারপ্রধানের পদ থেকে নিকোলা স্টার্জন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘ আট বছরের অধিক সময় ধরে এই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।

আরও পড়ুন : ভূমিকম্পে কাঁপল নিউজিল্যান্ড

দ্য স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এই নেতা এডিনবার্গ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে স্কটল্যান্ডের সরকার প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেবেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

তবে কবে নাগাদ দ্য স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা নিকোলা স্টার্জন দায়িত্ব ছাড়বেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

২০১৪ সালে নিকোলা স্টার্জন দেশটির সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এখন পর্যন্ত তিনি স্কটল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা সরকারপ্রধান।

আরও পড়ুন : ফ্রিজে মিলল প্রেমিকার লাশ

১৯৯৯ সাল থেকে স্কটিশ পার্লামেন্টের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করছেন স্টার্জন। তার এভাবে হুট করেই পদত্যাগের ঘোষণা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।

২০০৪ সালে এসএনপির উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১৪ সালে আয়োজিত এক গণভোটে অ্যালেক্স স্যালমন্ডকে হারিয়ে দলের নেতা এবং সরকারপ্রধান হন তিনি।

প্রসঙ্গত, স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্যের অন্তর্গত একটি দেশ। এটি গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের উত্তরদিকের এক তৃতীয়াংশে অবস্থিত। এর দক্ষিণ-পূর্বে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৯৬ মাইল (১৫৪ কিলোমিটার) দীর্ঘ সীমান্ত, উত্তর ও পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর-পূর্বে উত্তর সাগর এবং দক্ষিণে আইরিশ সাগর অবস্থিত।

এডিনবরা হচ্ছে দেশটির রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। মূল ভূখণ্ড ছাড়াও দেশটির ৭৯০টি দ্বীপ রয়েছে।

আরও পড়ুন : তুরস্কে সৃষ্টি হলো গভীর খাদ

১৮ শতকে স্কটিশ নবজাগরণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল, যা স্কটল্যান্ডকে ইউরোপে বাণিজ্যিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং শিল্প শক্তিকেন্দ্রগুলোর একটিতে রুপান্তরিত করে। গ্লাসগো, স্কটল্যান্ডের বৃহত্তম শহর। একসময়কার বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শিল্প শহর ছিল।

স্কটিশ পানি সীমা উত্তর আটলান্টিক এবং উত্তর সাগর একটি বড় সেক্টর গঠিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বৃহত্তম তেল মজুদ রয়েছে। এজন্যই অ্যাবরদিনকে, স্কটল্যান্ড তৃতীয় বৃহত্তম শহর, ইউরোপের তেল রাজধানী বলা হয়।

১৬০৩ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের রাজবংশ রাজা প্রথম জ্যাকবের অধীনে একত্রিত হয়। ১৭০৭ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের আইনসভা একত্রিত হয়। কিন্তু আজ অব্দি স্কটল্যান্ড নিজস্ব বিচারব্যবস্থা, নিজস্ব গির্জা, নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা, এমনকি নিজস্ব টাকা ধরে রেখেছে।

আরও পড়ুন : কেঁপে উঠল রোমানিয়া

১৯৯৯ সাল থেকে স্কটল্যান্ডের নিজস্ব আইনসভা রয়েছে এবং তখন থেকে দেশটি স্বায়ত্বশাসিত।

স্কটল্যান্ডের উত্তরে আটলান্টিক মহাসাগর, পূর্বে উত্তর সাগর, দক্ষিণ-পূর্বে ইংল্যান্ড, দক্ষিণে সলওয়ে ফার্থ ও আইরিশ সাগর এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর ও নর্থ চ্যানেল, যা আয়ারল্যান্ড ও গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত।

ভূ-রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তিতে প্রায় ১৮৬টি দ্বীপ স্কটল্যান্ডের শাসনাধীন, যাদেরকে মোটামুটি তিনটি দলে ভাগ করা যায়। একটি হল স্কটল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের কাছে অবস্থিত হেব্রাইডস দ্বীপপুঞ্জ (অন্তঃস্থ ও বহিঃস্থ), উত্তর সাগরে অবস্থিত অর্ক্‌নি দ্বীপপুঞ্জ, এবং অর্ক্‌নি দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ।

অবশিষ্ট দ্বীপগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়টির নাম আরান দ্বীপ; এটি স্কটল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে ক্লাইড ফার্থ বা ক্লাইড উপসাগরে অবস্থিত। দ্বীপগুলিকে গণনায় ধরে স্কটল্যান্ডের মোট আয়তন ৭৮,০৮০ বর্গকিলোমিটার। অভ্যন্তরীণ জলাশয়গুলির আয়তন প্রায় ১,৫০০ বর্গকিলোমিটার।

আরও পড়ুন : নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪১ হাজার

সরকার ও রাজনীতি :

১৭০৬-১৭০৭ সালে ‘ট্রিটি অব ইউনিয়ন’ পাস করে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড ‘গ্রেট ব্রিটেন’ নামে এক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৬৭ সাল থেকে স্কটল্যান্ডকে নিজেদের মতো করে শাসন করার স্বপ্ন দেখছে স্কটিশরা। ১৯৭৯ ও ১৯৯৭ সালের গণভোটের পর ১৯৯৯ সালে প্রথম স্কটিশ পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হয়।

২০০৭ সালে আলেক্স সালমন্ডের নেতৃত্বে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। বর্তমানে স্কটিশ পার্লামেন্টে ১২৯ আসনের মধ্যে ৬৫টি এসএনপির, ৩৮টি লেবার পার্টির ও ১৫টি রক্ষণশীল দলের।

আরও পড়ুন : বিবিসির কার্যালয়ে তল্লাশি

সংস্কৃতি :

স্কটল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ স্কটিশ ও ৭.৯ শতাংশ ব্রিটিশ। অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে আছে ১.৯ শতাংশ উপজাতি শ্বেতাঙ্গ, ১.২ শতাংশ পোলিশ, ১ শতাংশ আইরিশ, ০.৯ শতাংশ পাকিস্তানি ও ০.১২ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ক্যারিবিয়ান স্কটিশ।

জনগণের ৩২.৪ শতাংশ চার্চ অব স্কটল্যান্ডের অনুসারী। রোমান ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী ১৫.৯ শতাংশ। অন্যান্য খ্রিস্টান ৫.৫ শতাংশ, মুসলিম ১.৪ শতাংশ ও হিন্দু ০.৩ শতাংশ।

জাতীয়ভাবে স্কটিশদের প্রধান উৎসব বার্নস নাইট, এডিনবার্গ ফেস্টিভ্যাল। স্কটিশদের খাদ্যাভ্যাসে আছে মার্স বার ডিপ ফ্রাইড ফিশ, রুটি, কেক ও জাউ।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জায়েদের ফোন পানিতে ছুড়ে ফেললেন সাকিব

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের...

চীনে সড়ক ধসে নিহত ১৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ...

রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি তাপপ্রবা...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার (১লা মে) বেশ কিছু খ...

এলপিজির নতুন দাম জানা যাবে কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল তরলী...

রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত

জেলা প্রতিনিধি : রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে...

দুপুরে আসছে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউ...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বেশ কিছ...

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধা...

সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু ২ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল থেকে দ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা