আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হিসেবে এক মাসব্যাপী সংস্থাটির নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নিয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ
শনিবার (১ এপ্রিল) থেকে শুরু করে মাস জুড়ে এ দায়িত্ব থাকবে দেশটি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্য রয়েছে মোট ১৫টি দেশ। রোটেশন ভিত্তিতে সদস্য দেশগুলো এক মাস করে প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব পালন করে।
আরও পড়ুন : মিথ্যা সংবাদে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা
তবে এবারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্সির বিষয়টি অনেক বেশি আলোচনা হয়েছে। এর তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছিল ইউক্রেন এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররা।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার কাছে প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব ছিল। ঐ সময়ই ইউক্রেনে হামলা চালায় দেশটি।
আরও পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এনটিএ’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা
এবার রাশিয়া এমন সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের দায়িত্বভার গ্রহণ করল, যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। যদিও এ আদালত জাতিসংঘের কোনো সহকারী সংস্থা নয়।
এদিকে ইউক্রেনের আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়াকে এ দায়িত্ব নেওয়া থেকে আটকাতে পারেনি নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনকে সহায়তা দিচ্ছে আইএমএফ
দেশটি জানায়, রাশিয়াও যেহেতু কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। ফলে তাদের আটকানোর কোনো উপায় ছিল না। প্রেসিডেন্সির দায়িত্বের বিষয়টি শুধুমাত্র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।
তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী দূত ভাসিলি নাবেনজিয়া রুশ বার্তাসংস্থা তাস নিউজকে জানায়, তিনি বেশ কয়েকটি বিতর্ক পর্যবেক্ষণ করবেন, যার মধ্যে রয়েছে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি।
আরও পড়ুন : ফিতরা কত জানা যাবে রোববার
তিনি আরও বলেন, তিনি ‘নতুন বিশ্ব শাসন’ নিয়ে আলোচনা করবেন, যেটি ‘এককেন্দ্রীক বিশ্ব শাসনের’ জায়গায় স্থান নেবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্সি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, এপ্রিল ফুলের সবচেয়ে সেরা জোকস এটি।
আরও পড়ুন : ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক জানান, এটি আন্তর্জাতিক আইনকে আরেকবার ধর্ষণ করল। একটি দেশ, যেটি আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ শুরু করেছে, মানবিক ও অপরাধের আইন ভঙ্গ করেছে, জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে, পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা উপেক্ষা করেছে, তারা বিশ্বের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থার নেতৃত্ব দিতে পারে না।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য হলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং চীন।
খবর : বিবিসি
সান নিউজ/এনজে