আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার শিক্ষার্থীদের ঋণ দিতে নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে । নতুন নিয়মে ন্যূনতম দশম শ্রেণিতে উঠলেই একজন শিক্ষার্থী ঋণ নিতে পারবে।
এর জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নামে একটি কার্ড চালু করেছেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দশম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া সংক্রান্ত প্রয়োজনে এই ঋণ ব্যবহার করতে পারবে।
সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে এ কার্ডের মাধ্যমে। আবেদনকারীর বয়স ৪০ বছরের বেশি হতে পারবে না এবং তাকে শিক্ষার্থী হতে হবে। ঋণের মেয়াদ থাকবে ১৫ বছর পর্যন্ত।
এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার জন্য আবেদনকারী সেল্ফ ডিক্লারেশন দিলেই হবে। তবে তাকে অন্তত ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। ঋণের ক্ষেত্রে গ্যারান্টার থাকবে খোদ সরকার। এই কারণেই ঋণ দানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ কত, সিকিউরিটি আছে কিনা, অভিভাবক আদৌ টাকা পয়সা শোধ করতে সক্ষম কিনা এ ব্যাপারে কোনো অতিরিক্ত প্রশ্ন তুলতে পারবে না ব্যাংক। শিক্ষার্থী ঋণ নেয়ার বৈধ কারণ দেখালেই ঋণ পাবে। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক এবং কিছু আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক এই ক্রেডিট কার্ড দেবে।
এ কার্ডে আরও একটি সুবিধা দেয়া হয়েছে। অভিভাবক চাইলে ঋণের কিস্তি আগেই শোধ করতে পারেন। সময়ের আগে কিস্তি মিটিয়ে দেয়ার জন্য আলাদা করে কোনো পেনাল্টি বা প্রসেসিং চার্জ দিতে হবে না। আর ঋণ শোধ করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে মোট ১৫ বছরের সময় দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সুদের হার হবে ৪ শতাংশ। সরল সুদের হারে ঋণ শোধ করতে হবে। অর্থাৎ ধাপে ধাপে সুদের হার বাড়বে তা নয়।
ঋণের সঙ্গে শিক্ষার্থীকে একটি জীবন বিমাও করিয়ে দেয়া হবে। সেই বিমার প্রিমিয়াম শিক্ষার্থীকে দিতে হবে লোনের পরিমাণ থেকেই। বিমার টাকা কেটে নেয়া হবে। ঋণের অর্থে শিক্ষার্থীরা যেকোনো শিক্ষা সরঞ্জাম কিনতে পারবেন।
সাননিউজ/এমএইচ