আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি মাসের ৯ জুলাই থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে গত দুই দিনে (শুক্রবার ও শনিবার) অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এফডিসি সিগন্যালে ট্রেন থামিয়ে অবরোধ
দেশটির মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ হতাহতের সংবাদ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভূমিধস ও বন্যায় ১৭ জন নিহত ও ৯ জন নিখোঁজসহ অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা উত্তর গিয়ংসাং প্রদেশে ঘটেছে। এই এলাকাটি পাহাড়ি, তাই ব্যাপক ভূমিধসপ্রবন।
এছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া একটি টানেলের নিচে আটকে পড়া পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপকে এক উদ্ধারকারী জানান, সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পুরো ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায় ৫ হাজার ৫৭০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে উত্তর চুংচেওং প্রদেশের গোয়ান বাঁধ প্লাবিত হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ বৃত্তির চেক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী
স্থানীয় সময় শনিবার রাত পর্যন্ত দ. কোরিয়ার ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সারা দেশে ভ্রমণ ব্যাহত হয়েছে।
বাতিল করা হয়েছে প্রায় ২০টি ফ্লাইট এবং নিয়মিত ট্রেন পরিষেবাসহ কয়েকটি বুলেট ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে। দেশটিতে প্রায় ২০০টি রাস্তাও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন ইউক্রেন সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সোকে।
আরও পড়ুন: আরজেএফ’র যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের নদীর ওভারফ্লো এবং ভূমিধস প্রতিরোধের আহ্বান জানান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার অনুরোধ করেন।
অপরদিকে, কোরিয়ার আবহাওয়া প্রশাসন ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করে বলেছে। আগামী সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে দেশটিতে, যা পরিস্থিতি 'গুরুতর' করে তুলছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দ্বার সবসময় খোলা
বছরের এই সময়টাতে দক্ষিণ কোরিয়া নিয়মিত বন্যার কবলে পড়ে। তবে দেশটি সাধারণত ভালোভাবে প্রস্তুত থাকে এবং মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
গত বছরও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর দিয়ে রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাত এবং বন্যার ধকল গেছে। ফলে ১১ জনের অধিক লোক মারা গিয়েছিল।
সান নিউজ/এইচএন