নিজস্ব প্রতিবেদক: জাবি প্রশাসন জানিয়েছেন বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানরত সাবেক শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ।
আরও পড়ুন: ইবিতে মক ট্রায়াল ও মুট কোর্ট অনুশীলন
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানরত সাবেক শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আবাসিক হল ছেড়ে চলে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে অনুমোদনহীন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা, ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ এবং ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল
অপরদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ করার জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:প্রথমবারের বারের মতো লেখা প্রদর্শনী
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, তাকে সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেন, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, একই বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। এদের মধ্যে শাহ পরান ছাড়া সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে মুরাদ, সাব্বির ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান জাবি ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ধর্ষণের ঘটনার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সান নিউজ/এএন