স্পোর্টস ডেস্ক: এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) নিয়ে নানা রকম বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েছেন অনেকেই। এই সাড়িতে এলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। করেছেন আম্পায়ারের সাথে অসদাচরণ। এ কারণে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
সুপার লিগে প্রথমে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে একটি ওয়াইড ও পরে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে কট বিহাইন্ড না দেওয়ার জন্য আম্পায়ারদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন রিয়াদ। পরপর দুই ম্যাচে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় তাকে আচরণবিধির ২.৮ বিধি ভঙ্গ করার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান। তিনি বলেন, মাহমুদউল্লাহ মাঠে যা করেছে তা ক্রিকেটের স্পিরিটের বিরুদ্ধে। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে ও চ্যালেঞ্জ করেছে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজও খারাপ ছিল।
তিনি আরো বলেন, মাহমুদউল্লাহ আগের ম্যাচেও পেনাল্টি পেয়েছে। এ জন্য এখানে পেনাল্টি ডাবল হয়ে গেছে। ২.৮ আচরণবিধি ভঙ্গ করায় তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নাসুম আহমেদের শর্ট বল হালকা টার্ন করে উইকেটকিপারের গ্লাভসে যায়। এ সময় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান লিটু। কট বিহাইন্ডের আবেদন শুরুতেই নাকচ করে দেন তিনি।
এ সময় দলটির অধিনায়ক রিয়াদ শিশুসুলভ কাণ্ড করেন। পাশের উইকেটে দুই বার ঘুষি দেন। গড়াগড়ি খান ২২ গজে! আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যেন কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না তিনি। এরপর নিজের ফিল্ডিং পজিশনে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলেন। আম্পায়ার খেলা চালানোর জন্য বললেও তার কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না।
এর আগের দিন আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে ১৯তম ওভারে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর প্রথম বলে ওয়াইড দেন আম্পায়ার। রিয়াদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েও অসন্তোষ জানান। বাউন্ডারি লাইন থেকে ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে তেড়ে যান আম্পায়ারদের দিকে। এরপর আম্পায়ারের সঙ্গে তাকে ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখা যায়।
সাননিউজ/এএসএম