নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ১৪ নভেম্বর রাতে জয়া নামের এক বাঘিনী তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। জন্মের পর থেকে শাবকগুলোকে মা বাঘের দুধ খেতে না পেয়ে পরদিন একটি এবং ১৮ নভেম্বর আরেকটি শাবক মারা যায়।
বর্তমানে মাতৃস্নেহ বঞ্চিত আরেকটি শাবক বেড়ে উঠছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভর তত্ত্বাবধানে। শাহাদাত হোসেন শুভ টেলিফোনে জানান, ১ মাস ৮ দিন বয়সী এ বাঘ শাবককে আদর যত্নে বড় করে তুলছেন চিড়িয়াখানার চিকিৎসকসহ অপর কর্মীরা।
এখন ছাগলের দুধের সঙ্গে অন্য কিছু উপকরণ মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। বাঘ শাবকটি আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। তার ওজন হয়েছে ২ কেজি ৩০০ গ্রাম। ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়।
২০১৮ সালের ১৯ জুলাই টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দু্টি ছিল হোয়াইট টাইগার অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটি শুভ্রা। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেওয়া হয় জয়া। এই জয়া গত ১৪ নভেম্বর তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। যার মধ্যে দুটি মারা যায়।
এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বাঘিনী পরী দুটি শাবকের জন্ম দেয়। এরমধ্যে পরদিনই একটির মৃত্যু হয়।বেঁচে থাকা শাবকটি শুরুর দিকে ইনকিউবেটরে এবং পরে তিন মাস পর্দায় ঢাকা খাচায় নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। সুস্থ হয়ে ওঠার পর খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া বাঘ ছানার নাম রাখা হয় করোনা।
সান নিউজ/এসএ