নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি এখন সামাজিক মর্যাদা পেয়েছে। এক সময় কৃষিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হতো। এখন শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরাও কৃষিতে আসছে। তাদেরকে নিয়ে দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে আমরা কৃষি পণ্য উন্নত বিশ্বে বাজারজাতকরণ করবো বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির, এসিআইএ এগ্রিকালচার এর প্রধান নির্বাহী এফ এইচ আনসারী, এফএ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট ডি সিম্পসন, ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেবিস প্রমুখ।
কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে না, বরং আমরা সারা বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ করতে পারবো। আন্তর্জাতিক বাজারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবো। স্থানীয় প্রয়োজন মিটিয়েও আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে কীভাবে বাণিজ্যিক কৃষিতে যাবো সেটা নিয়ে সরকার কাজ করছে।
এসিআইএ এগ্রিকালচার এর প্রধান নির্বাহী এফ এইচ আনসারী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বেসরকারি খাত কৃষির উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছে। দেশে ৯৫ ভাগ হাইব্রিড ধান, ৯৬ ভাগ সবজি বীজ ও ৯৯ ভাগ পাট বীজ প্রাইভেট সেক্টর সরবরাহ করে আসছে। এছাড়া বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সারা বিশ্বে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআরআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের কৃষিতে ঘটেছে বিশাল রূপান্তর। বিভিন্ন ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিন থেকে চার গুণ। যার ফলে আজ আমরা বাণিজ্যিক কৃষির কথা ভাবছি। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকায় নদীর পানি ব্যবহারের মাধ্যমে ধানের আবাদ এলকা বৃদ্ধি করে ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা পূরণ করেও ২০৫০ সালে ৪৮ লক্ষ টন উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
সান নিউজ/এনএএম/এমকেএইচ