নিউজ ডেস্ক:
করোনা পরিস্থিতিতে ডাকা সংসদের আসন্ন অধিবেশনটি শুরু হয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। দেশের ইতিহাসের এটিই প্রথম অধিবেশন হতে যাচ্ছে যেখানে জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের আসতে নিরুৎসাহিতও করা হবে। এমনকি এখানে ঢুকতে পারবে না গণমাধ্যমকর্মীরাও। সংসদের বৈঠক বসার পর শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেই তার সমাপ্তি টানা হবে আপাতত এমনই পরিকল্পনা রয়েছে। সংসদ সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ডাকা চলতি একাদশ সংসদের সপ্তম অধিবেশন আগামী ১৮ এপ্রিল বসতে যাচ্ছে। সংসদ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংসদের ইতিহাসে এটা হবে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন। আগামী শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় শুরু হয়ে মাগরিবের নামাজের বিরতির আগেই এ অধিবেশন শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা উল্লেখ জাতীয় সংসদের হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিবেশন টেনে নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এটি ঘণ্টাখানেকের মতো চলবে। তবে ওইদিনই সমাপ্তিটা নাও হতে পারে। অথবা সুযোগ থাকলে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে বাজেট পর্যন্ত মুলতবি করা হতে পারে।
সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী সংসদের এক অধিবেশনের শেষ ও পরের অধিবেশনের শুরুর মধ্যে একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সংবিধানের এই বাধ্যবাধকতা মানতে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও অধিবেশন বসতে যাচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা ও একাধিক হুইপের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, বয়স্ক ও শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন এমন এমপিদের এই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হবে। এমপিদের কাছে এমন বার্তা পৌঁছাতে ইতোমধ্যেই হুইপদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত এবং ঢাকার আশপাশের সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিকে উৎসাহিত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের বৈঠকের কোরাম পূরণ করতে সর্বনিম্ন ৬০ জনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। তাই ওই হিসেব মাথায় রেখে এমপিদের অধিবেশনে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। এছাড়া সংসদ কক্ষে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হবে।
একাদশ সংসদের সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। যা ২২ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে অধিবেশন বাতিল করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.