নারী

বেগম রোকেয়া, অনুপ্রেরণার আরেক নাম

নারী জাগরণের অগ্রদূত ও নারী-অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পৃথিকৃৎ বেগম রোকেয়া।আজকের দিনে বাঙালি নারীর যে অবস্থান তৈরি হয়েছে, তার ভিত তৈরি করে গেছেন।যখন বাঙালি নারীর স্বপ্ন বা চিন্তার স্বাধীনতাও ছিল না, তেমনি ‌একটা সময়ে অবরোধ প্রথার বিরুদ্ধে ও নারী মুক্তির-নারী স্বাধীনতার দাবি তুলে ধরেন মহিয়সী এই নারী।১৮৮০ সালের ০৯ ডিসেম্বর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারকবেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রংপুরের পায়রাবন্দে জন্ম গ্রহণ করেন।


১৯০৯ সালে নারীদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে মাত্র পাঁচ জন ছাত্রী নিয়ে ভাগলপুরে প্রথম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তুবিভিন্ন সমস্যায় স্কুলটি বেশিদিন টেকেনি। পরবর্তীতে একবছর পর ১৯১১ সালে কলকাতায় পুনরায় একই নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।

নারী মুক্তির পথ তৈরি করতে তিনি বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেন ও তাদের এসব কাজে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। এর ফলশ্রুতিতে ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠা পায় মুসলিম নারী বিষয়ক সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম। এই তহবিল থেকে অসহায়-দরিদ্র মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা হতো, অভাবী মেয়েরা সমিতির অর্থে শিক্ষালাভের সুযোগ পেতেন।

বেগম রোকেয়া সমাজের তখনকার অবরোধবাসী নারীদের অবস্থা তুলে ধরতে লেখালেখি শুরু করেন। তার লেখায় সমাজের কুসংস্কার ও অবরোধ প্রথার কুফল, নারী শিক্ষার প্রতি তার নিজস্ব মতামত, নারীদের প্রতি সামাজিক অনাচার ও অপমানের কথা উঠে আসে। তেমনি বাল্য-বিবাহ ও বহুবিবাহের বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন তিনি।


নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি এবং মুসলমান সমাজের অবরোধ প্রথার অবসান হবে এমনটাই স্বপ্ন দেখতেন বেগম রোকেয়া।

১৯৩০ সালে বঙ্গীয় মুসলিম সম্মেলনে বেগম রোকেয়া বাংলা ভাষার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, শিক্ষা ছাড়া নারী জাতির মুক্তি সম্ভব নয়। তাই তিনি নারী শিক্ষা প্রসারে কাজ করেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।

বেগম রোকেয়ার বিশেষ কিছু গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী ও মতিচুর। তার উল্লেখযোগ্য রচনা সুলতানার স্বপ্ন। মৃত্যুর আগে বেগম রোকেয়া একটি অসমাপ্ত প্রবন্ধ রেখে যান। এর নাম ‘নারীর অধিকার’। এইমহিয়সীনারী১৯৩২ সালের ০৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরনকরেন।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

ফের ৯৮ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

ফের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। বিম...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

চিকিৎসক নেতা নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বা...

ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না: দুদু

নির্বাচন হলে যাদের ভরাডুবি হবে তারাই নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বি...

রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার, ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলব

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ক...

প্রধান উপদেষ্টা নিজে ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: রিজওয়ানা

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা...

জুলাই সনদে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ অবস্থান অস্পষ্ট: ডেভিড বার্গম্যান

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা