স্পোর্টস ডেস্ক : পরাজয় একপ্রকার নিশ্চিতই হয়ে ছিল, তৃতীয় দিন শেষেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ভাগ্য। শুধু ছিলো সময়ের অপেক্ষা। এমনকি ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কাও ছিল। তবে নুরুল হাসান সোহানের আগ্রাসী ফিফটিতে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে সাকিব আল হাসানের দল।
আরও পড়ুন: অবসর ভাবনায় মর্গ্যান
তবে পরাজয়ের ভাগ্যরেখা বদলানো যায়নি। ১৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭ বল খেলে গোটা ১০ উইকেটে জিতেছে উইন্ডিজ।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৩৪ তম টেস্টে এসে বাংলাদেশ পেল শততম হারের স্বাদ।
রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা। জন ক্যাম্পবেল ৯ ও অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
আরও পড়ুন: ম্যারাডোনার সেই জার্সি নিলামে
এর আগে, বৃষ্টির কারণে বিলম্বে শুরু হয় দিনের খেলা। ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তখনও ইনিংস পরাজয় এড়াতে টাইগারদের দরকার ছিল ৪২ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরে যান ৪ রান করেই। এরপর রানের খাতা খুলতে পারেননি এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।
৫০ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বাংলাদেশের স্কোরটাকে ১৮৬-তে নিয়ে যান নুরুল হাসান সোহান। ফলে বাংলাদেশ পায় ১২ রানের লিড, রক্ষা পায় ইনিংস পরাজয়ের হাত থেকে। উইন্ডিজের পক্ষে কেমার রোচ, আলজারি জোসেফ ও জয়ডেন সিলস ৩টি করে উইকেট নেন।
প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটের জয়, আর এই টেস্টে ১০ উইকেটের জয় ক্যারিবীয়দের। দুই টেস্টেই দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচ ও সিরিজসেরা হয়েছেন কাইল মেয়ার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৩৪/১০ (লিটন দাস ৫৩, তামিম ইকবাল ৪৬, নাজমুল শান্ত ২৬, শরিফুল ইসলাম ২৬, এনামুল হক ২৩; আলজেরি জোসেফ ৩/৫০, জেডেন সিলস ৩/৫৩)
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ৪২ মরদেহ উদ্ধার
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৪০৮/১০ (কাইল মায়ার্স ১৪৬, ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ৫১; খালেদ আহমেদ ৫/১০৬, মেহেদি মিরাজ ৩/৯১)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৮৬/১০ (নুরুল হাসান সোহান ৬০*, নাজমুল শান্ত ৪২; জেডেন সিলস ৩/২১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৩/০ (ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ৪*, জন ক্যাম্পবেল ৯*)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।
সান নিউজ/এফএ