ওসি প্রদীপ কুমার দাশ
জাতীয়

আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ

সান নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: রাস্তার পাশে মিলল ৫টি পাইপগান

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ। একই সঙ্গে প্রদীপের ঘুষের টাকায় চুমকির নামে নেওয়া কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত।

বুধবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় তারা স্বাভাবিক ছিলেন।

আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প

আদালত সূত্রে জানা যায়, রায় ঘোষণার পর মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ বলতে থাকেন, আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমি নির্দোষ। আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি দুর্নীতি করিনি।

প্রদীপ আরও বলেন, আমাকে সিনহা হত্যা মামলায় যে রায় দেওয়া হয়েছে সেখানে আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আপনারা সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করে দেখেন। আমি মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের জন্য যুদ্ধ করেছি। যাতে আর কোনো ঐশী (বাবা-মাকে খুন করার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত) তৈরি না হয়। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি যাতে যুবসমাজ ধ্বংস না হয়। আমি কোনো অপরাধ করেনি। অনুসন্ধান করে দেখেন। আজকের রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে যাব।

প্রদীপের আইনজীবী সমীর দাশ গুপ্ত গণমাধ্যমকে বলেন, রায়ে আমরা সম্পূর্ণভাবে অসন্তুষ্ট। আমরা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।

আরও পড়ুন: দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি

রায়ের পর পিপি মাহমুদুল হক বলেন, আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আদালত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দিয়েছেন। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

পিপি আরও বলেন, দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় চুমকি কারনকে একবছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১ লাখ টাকা জরিমানা ও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ২৭(১) ধারায় প্রদীপ ও চুমকীকে ৮ বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়া মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২), (৩) ধারায় প্রদীপ ও চুমকী প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চুমকি ও প্রদীপকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সব সাজা একসঙ্গে চলবে। এছাড়া একইসঙ্গে প্রদীপ ও চুমকীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলেছেন আদালত।

এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রদীপ ও চুমকিকে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ইমরান খানের দখলে পাঞ্জাব

পিপি মাহমুদুল হক বলেন, দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় চুমকি কারনকে একবছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১ লাখ টাকা জরিমানা ও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ২৭(১) ধারায় প্রদীপ ও চুমকীকে ৮ বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়া মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২), (৩) ধারায় প্রদীপ ও চুমকী প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চুমকি ও প্রদীপকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সব সাজা একসঙ্গে চলবে। এছাড়া একইসঙ্গে প্রদীপ ও চুমকীর স্থাবর ও অস্থাবার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলেছেন আদালত।

আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে এপিবিএন চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় টেকনাফের ওসি প্রদীপকে কারাগারে যাওয়ার পর তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে তদন্তে নামে দুদক। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পত্তি অর্জনের মামলা করেন।

মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

এর আগে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এই হত্যা মামলায় প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি এই রায় দেন আদালত।

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া প্রদীপ ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তার স্ত্রী চুমকি চলতি বছরের ২৩ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস চাপায় চুয়েট...

রাজধানীতে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাঁখা...

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়া অধিদপ্...

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসে তিন...

রংপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

রংপুর প্রতিনিধি : সারাদেশের মতো র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা