সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে একসময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে। সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) ৩ ফাল্গুন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। ১৪ রজব ১৪৪৩ হিজরি। ইতিহাসে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।
আরও পড়ুন: মেসির পেনাল্টি মিস
ঘটনাবলী:
১৭০৪- অবিভক্ত বাংলায় পুলিশী ব্যবস্থার প্রচলন হয়।
১৯২৩- হাওয়ার্ড কার্টার ফারাও সম্রাট তুতানখামেনের সমাধি উন্মুক্ত করেন।
১৯৭২- বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় সিঙ্গাপুর।
১৯৭৪- পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, বাংলাদেশ যদি ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্য স্থগিত করে তবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গলিত লোহা ছিটকে তিন শ্রমিক দগ্ধ
জন্মদিন:
১৮২২- আধুনিক ভারততত্ত্ববিদ ও বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাস চর্চার অন্যতম পথিকৃতও প্রাবন্ধিক রাজেন্দ্রলাল মিত্র।
১৯০৪- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কর্মী অন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তী।
১৯২৭- বাঙালি সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সার। তার প্রকৃত নাম ছিল আবু নঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লা। জন্ম ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মাজুপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬৯ সালে উপন্যাসে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে সাংবাদিকতায় মরণোত্তর একুশে পদক এবং সাহিত্যে ১৯৯৮ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন(গল্পে অবদানের জন্য)।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে আল-বদরের হাতে শহীদ হন।
১৯৩৬- বাংলাদেশি সাহিত্যিক রাজিয়া খান।
১৯৩৯- বিংশ শতাব্দীর শেষভাবে আবির্ভূত ভারতীয় বাঙ্গালি চিত্রকর যোগেন চৌধুরী।
১৯৪২- বাংলাদেশি পরমাণুবিজ্ঞানী ও বঙ্গবন্ধুর জামাতা এম এ ওয়াজেদ মিয়া।
১৯৪৮- বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীন।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ি
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৯৩৩- ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিপ্লবী কালীপদ মুখোপাধ্যায়।
১৯৮১- সাহিত্যিক খান মুহম্মদ মইনুদ্দীন।
১৯৮২- শিক্ষাবিদ, গবেবষক ড. মুহম্মদ এনামুল হক।
১৯৮৪- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্ম তার। পৈত্রিক বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার দয়ামীরে। তার স্মরণে ঢাকায় ‘ওসমানী উদ্যান’ গড়ে উঠেছে ও বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীতে ‘ওসমানী মেমোরিয়াল হল’ স্থাপিত হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে সিলেট শহরে তার নামে একটি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯০- বাংলাদেশি অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও নির্দেশক এবং প্রাবন্ধিক নুরুল মোমেন।
১৯৯৯- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদ।
সান নিউজ/এনকে