আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে রাজনীতিতে অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দিয়েছে ইরান
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন এ ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম ডন অনলাইন।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাকিস্তানের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিদেশি নেতাদের থেকে প্রাপ্ত উপহারের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেটি ‘তোশাখানা’ মামলা হিসেবে পরিচিত।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন শুক্রবার জানিয়েছে, সংবিধানের ৬৩ (১) (পি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অসদাচারণের অভিযোগে ইমরানকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : যুদ্ধের জন্য আমরা প্রস্তুত
ফলে ইমরানের পার্লামেন্ট সদস্য পদও খারিজ হয়ে গেছে। ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও বলেছে কমিশন।
প্রতিবেদনে ডন অনলাইন জানিয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বাধীনে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে ইমরান খানকে নিষিদ্ধের পক্ষে রায় দেয়।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ৫ জন
পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের এই নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ইমরান খানের আইনজীবী গোহার খান।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইমরান খান ও তার স্ত্রী বিদেশ ভ্রমণের সময় কোটি ডলার মূল্যের বিপুল উপহার পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিল বিলাসবহুল ঘড়ি, গহনা, ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগ ও পারফিউম।
আরও পড়ুন : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
ইমরান খান কিছু উপহার সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বা সেগুলি বিক্রি করে মুনাফা কামিয়েছেন।
ওই সময় ইমরান খান জানিয়েছিলেন, তিনি জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতে কিছু উপহারের তথ্য প্রকাশ করেননি।
তবে ১০ লাখ ডলার মূল্যের আইটেম কেনার কথা স্বীকার করেছেন। পরে সেগুলো দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি করেছেন ইমরান খান।
সান নিউজ/এইচএন