খাগড়াছড়িতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ (ফাইল ফটো)
সারাদেশ
এক সপ্তাহে ৫ শিশুর মৃত্যু

খাগড়াছড়িতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : খাগড়াছড়িতে শীতজনিত ঠান্ডা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে মারা গেছে ৫ শিশু ৷ এরমধ্যে ৩ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর চাপ। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

আরও পড়ুন : ১৬ লাশ শনাক্ত করা যায়নি, হয়নি নৌ ফায়ার স্টেশন!

হাসপাতাল সূত্রে, গত কয়েকদিনের ঠান্ডায় খাগড়াছড়িতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশি সহ নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। গেলো ১ সপ্তাহে মারা গেছে ৫ শিশু। এরমধ্যে ৩ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল।

শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা ছাড়াও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। প্রতিদিন বিভিন্ন হাসপাতালে গড়ে দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। এরমধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

আরও পড়ুন : গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় হেলপার নিহত

জনবল সংকটের কারণে বাড়তি রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা। ভর্তিকৃত রোগীদের বেশিরভাগই জ্বর,সর্দি, কাশি, বমি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।

চিকিৎসা নিতে আসা জরিনা বেগম জানান, তার বাচ্চার বয়স ১ বছর। ঠান্ডা লাগার পরই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখন চিকিৎসা চলছে। জেলার দীঘিনালা থেকে আসা অন্য এক রোগীর অভিভাক জানান, আমার বাচ্চার জ্বর, পেট ব্যাথা। এই হাসপাতালের চিকিৎসা ভাল, তাই এখানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি।

আরও পড়ুন : সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক

এছাড়াও শীতের কারণে নবজাতক ও শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আশংকাজনক ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অনেক শিশুকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা না থাকায় জেলা সদর হাসপাতালে আনতে সময় বেশি লাগছে। যার কারণে চিকিৎসা সেবা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, প্রতিদিন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ৫ থেকে সাড়ে ৫শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ জন রোগী হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি চিকিৎসা নিচ্ছে। অধিকাংশ রোগী ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি নিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। বয়ষ্ক রোগীরাও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন : মুক্তিপণেই বাড়ি ফিরলেন সেই ৮ জন

একই হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওমর ফারুক বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেক বাচ্চাদের ক্রিটিক্যাল অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসছে।

এ সময় তিনি বাচ্চাদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরার্মশ দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বাচ্চাদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা