জেলা প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের মানিকখালি ও সরারচর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় চলন্ত ট্রেনে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ট্রেনের চালকসহ কমপক্ষে ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
রোববার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকা ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দু এক্সপ্রেস ট্রেনটি মধ্য রাতে মানিকখালি এলাকায় পৌঁছলে ঐ এলাকায় মেলায় অংশ নেওয়া যুবকরা ট্রেন থামিয়ে উঠতে চান। কিন্তু জায়গাটি কোনো স্টেশন না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ না দাঁড়িয়ে ট্রেন চালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : কঙ্গোতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২২
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ যুবকরা চলন্ত ট্রেনটি লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করলে ট্রেনের ভেতরে থাকা যাত্রীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছোটাছুটি করেও পাথরের আঘাত থেকে রেহাই পাননি সাধারণ যাত্রীরা।
এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ যাত্রী আহত হয়েছে। শুধু যাত্রীরা নয়, ট্রেনের সহকারী চালক মো. কাওছার হোসেন গুরুতর আহত হন। এছাড়া পাথরের আঘাতে ট্রেনটির লুকিংগ্লাসসহ চালক ও পরিচালকের রুমের জানালার কাঁচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে।
আরও পড়ুন : প্রাণহানিতে শীর্ষে তাইওয়ান
আহত সহকারী ট্রেনচালক মো. কাওছার তার ফেসবুক আইডিতে চলন্ত ট্রেনে হামলার একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
সেখানে কাওছার লিখেছেন, ‘মানিকখালী স্যাংশনে যে মেলা হয়, সেখানে স্টপেজের কোনো অনুমতি নেই। সুতরাং ট্রেন দাঁড়ানোর যুক্তিই আসে না। সেই স্থানে না দাঁড়ানোর জন্য একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করে যাত্রীদের আহত করেছে। আমার হাত কেটে গেছে। প্রাণে বেঁচে গেছি এ জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।’
আরও পড়ুন : ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, ‘চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে যাত্রীদের আহত করেছে, এটা কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ নয়।’
রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ইউসুফ হোসেন জানান, ঘটনাটি ট্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : ঘর পাচ্ছে আরও ১৩৩০টি পরিবার
এছাড়া সেখানে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যরাও তাদের কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি অবগত করেছেন বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এনজে