স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল বেরিয়ে এল বাংলাদেশের। একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া কেউই দাড়াতে পালেন না লঙ্কান বোলাদের বিপক্ষে। শান্ত সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিলে ৪২.৪ ওভারেই বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৬৪ রানে। অর্থাৎ জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ১৬৫।
আরও পড়ুন : লিটনের বদলি বিজয়
আজ (বৃহস্পতিবার) ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। টস ভাগ্যে জিতে টাইগারদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রথমে নেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু ব্যাটিংয়ের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। অভিষেক ম্যাচটা রাঙাতে পারলেন না তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। রানের খাতা খোলার আগেই লঙ্কান বিস্ময় স্পিনার মাহিশ থিকসানার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর আরেক ওপেনার নাইম শেখকে তুলে নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ধনঞ্জয়াকে এগিয়ে মারতে গিয়েছিলেন নাইম, কিন্তু স্লোয়ার ডেলিভারি বুঝতে না পেরে বল আকাশে তুলে দেন। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন নিশাঙ্কা। ২৩ বলে ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাইম। ফলে ২৫ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের হার
নাইমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব। টাইগার অধিনায়ক শুরু করেছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। কিন্তু দলের বিপদে তিনিও উইকেট বিলিয়ে আসেন। 'জুনিয়র মালিঙ্গা' মাথিসা পাথিরানার গতিময় এক ডেলিভারি বুঝতে না পেরে ব্যাট চালিয়ে দেন সাকিব। উইকেটরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে নেন ক্যাচ। ফলে ১১ বলে ৫ রানেই সাকিবের ইনিংসের মৃত্যু হয়।
৩৬ রানে নেই ৩ উইকেট। একের পর এক উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত আর তাওহিদ হৃদয় দলকে এগিয়ে নেন অনেকটা সময়। শান্ত তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি।
কিন্তু এরপরই আঘাত। শান্ত-হৃদয়ের জুটিটি ৫৯ রানেই থামিয়ে দেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তাওহিদ হৃদয়ের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে ঠিকই জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। ৪১ বলে ২০ রান করেন হৃদয়।
আরও পড়ুন : খেলার আগেই দুঃসংবাদ পেলেন সাকিব
এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মনে হচ্ছিল, দলের এই বিপদের পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় এগোবেন তিনি। শুরুটাও ছিল ভালো। কিন্তু মুশফিক ভুলটা করে বসলেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে (২২ বলে)। উচ্চাভিলাষী এক শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন। ১২৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মুশফিকের বিদায়ের পর মেহেদি হাসান মিরাজ (৫) রানআউট হন শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। শান্তকে কল দিলে এক রান নিতে তিনি চলে গিয়েছিলেন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। কিন্তু মিরাজ কিছুটা এগিয়ে এসে আবার উল্টো পথ ধরেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, শান্তই তার আগে পৌঁছে গেছেন স্ট্রাইকিং এন্ডে। ফলে রানআউট হন মিরাজ।
সুবিধা করতে পারেননি শেখ মেহেদিও। ৬ রান করে ওয়াল্লালেগার বলে এলবিডব্লিউ হন এই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার। একটা প্রান্ত ধরে শান্ত খেলছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরির কাছে এসে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকেও।
আরও পড়ুন : টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ব্যক্তিগত ৮৯ রানে মাহিশ থিকসানার ঘূর্ণি বল মিস করে বোল্ড হন শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যারের ১২২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি বাউন্ডারির মার। শান্ত ফেরার পর আর সময় লাগেনি লঙ্কানদের। তাসকিন ও মুস্তাফিজুর রহমানের ব্যাট থেকে আসেনি কোনো রান। ফলে ২ রান যোগ করেই অলআউট বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মাথিসা পাথিরানা। ৩২ রান খরচ করে এই পেসার ঝুলিতে ভরেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মাথিসা পাথিরানা। ৩২ রানে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন মাহিশ থিকসানা।
সান নিউজ/জেএইচ