আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসের একটি নারী কারাগারের ভেতর দুই পক্ষের সহিংসতায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : ২৮টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের
মঙ্গলবার (২০ জুন) এ ঘটনা ঘটে। কারা কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
জানা গেছে, কারাগারের ভেতর দুই গ্যাং গ্রুপের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ বাধে। যার মধ্যে একটি গ্রুপ সেলের ভেতর আগুন ধরিয়ে দেয়। কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে। তবে তাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন।
হন্ডুরাসের উপনিরাপত্তামন্ত্রী জুলিসা ভিলানুভা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। যারা এ সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ
এছাড়া আহতদের উদ্ধার এবং সহিংসতা থামাতে তাৎক্ষণিকভাবে দমকলকর্মী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপও অনুমোদন করেন জুলিসা ভিলানুভা। তিনি বলেছেন, ‘মানুষের জীবনহানি সহ্য করা হবে না।’
এদিকে যারা নিহত হয়েছেন তারা সবাই কয়েদি কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। রাজধানী তেগুসিগালপা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কারাগারটিতে একসঙ্গে ৯০০ বন্দি থাকতে পারেন। এ ঘটনায় আহত কয়েকজন বন্দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘অবৈধ বসতি’ বন্ধে জাতিসংঘের আহ্বান
কারাগারে আটক বন্দিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী ডেলমা ওরডোনেজ জানিয়েছেন, সহিংসতায় কারাগারটির একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নারী কারাগারটির ভেতর থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, হন্ডুরাস গ্যাং ও দুর্নীতির জন্য পরিচিত। কয়েকদিন আগে দেশটির সরকারি দফতরগুলোতে শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়। এরপর হত্যাকান্ডের সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়া হন্ডুরাসে কারাগারে সহিংসতার পূর্ব ইতিহাসও রয়েছে। ২০১৯ সালে বন্দর নগরী তেলাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সান নিউজ/জেএইচ