ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে শোক প্রকাশ করার চেয়ে নিজেদের পরিচিতি বা আত্মপ্রচার করতে ব্যস্ত নেতারা।
আরও পড়ুন: ভোলায় আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে জেলার অনেক নেতারা শোক দিবসের ব্যানার, পোষ্টার ও ফেস্টুন করে বিভিন্ন স্থানে সাটিয়ে দিয়েছে। আবার কেউ নিজে ও সমর্থকদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করছেন।
জাতীয় শোক দিবসের ব্যানারে শুধু মাত্র ১৫ই আগস্ট যারা শহীদ হয়েছে, শুধু তাদের ছবি দিয়ে ব্যানার, ফেষ্টুন বা পোষ্টার সাটানোর নির্দেশ অনেকেই মানছেন না।
প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগ নিয়ম মেনে পোষ্টার করলেও মানছেন না আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। নিজেকে জাহির করতে ছবি সংবলিত পোষ্টার ও ফেষ্টুন করছেন তারা। নিজেকে প্রচার করতে গিয়ে শোক ব্যানারে ছাপিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা
নিজেদের ছবি-পরিচয় প্রচার করতে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যদের ছবিও শহীদের ছবির পাশাপাশি তুলে দিচ্ছেন। এতে দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঈন তালুকদার, কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যন মাহমুদ হাসান রিপনসহ অনেকেই বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কে নিয়ম বর্হিভূত তাদের নিজেদের ছবি সংবলিত পোষ্টার ও ব্যানার সাটিয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ শহরের সদর চৌমাথার সড়কে ১৫ই আগস্ট বিকেলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ১৪ দলের সমন্বয় ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু (এমপি)।
আরও পড়ুন: সাঈদীকে সেবা দেওয়া ডাক্তারকে হুমকি
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, আমার ব্যানার যাকে দিয়ে করেছি, সে ভুল করেছে। শোক ব্যানারে ব্যক্তিগত ছবি দেওয়া যাবে না, তা আমার জানা ছিল না। পত্রিকায় দেখলাম অন্য মেয়রের ছবিসহ ছাপা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যন মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, শোক দিবসের ব্যানারে নিজের ছবি দেওয়া যাবে না- এমন দলীয় নির্দেশনা জানা ছিল না। অনেক এমপি নিজের ছবিসহ ব্যানার করেছেন, তাই আমিও করেছি।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার ছাড়া কারও ছবি দেওয়া যাবেনা। আমাদের আদর্শিক পিতা স্বপরিবারে শহীদ হলো, সেখানে আামাদের ছবি দেই কিভাবে? যারা শোক দিবসে নিজেদের ছবি দিয়েছে, এটা তাদের চেতনার অভাব।
সান নিউজ/এনজে