লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই হাতে মেহেদি পরার চল রয়েছে। যে কোনো উৎসবের আগে নারী-পুরুষ কিংবা শিশু প্রায় সবাই হাত মেহেদির রঙে রাঙিয়ে তুলতে ভালোবাসেন। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায়। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। জেনে নিন মেহেদির রং গাঢ় করার কিছু কৌশল-
আরও পড়ুন : গরমে ভ্রমণের সময় করণীয়
হাত পরিষ্কার করে নিন : মেহেদি হাতে ব্যবহারের আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তার মধ্যে একটি হলো, হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। হাতে যেন কোনো মেহেদি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হাতে ময়লা, মৃত কোষ থাকলে মেহেদির রঙ ঠিকভাবে বসে না। তাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ম্যানিকিওর করে নিতে পারেন।
চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার : মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।
আরও পড়ুন : অতি গরমে দরকার ইলেকট্রলাইট পানি
লবঙ্গের ব্যবহার : লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দু’টি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।
হাত গরম রাখুন : মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখ ডলবেন না।
আরও পড়ুন : ফুড পয়েজনিং রোধে করণীয়
পানি লাগাবেন না : মেহেদি সব সময় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরবেন। এরপর সারা রাত হাতে মেহেদি রেখে দিলে ভালো হয়। তবে মেহেদি শুকিয়ে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। কিছু মেহেদি শুকিয়ে নিজ থেকেই পড়ে যাবে। অথবা হাত দিয়ে ঘষে আপনি নিজেই ফেলে দিতে পারেন। মেহেদি শুকিয়ে যাওয়ার পর অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা হাতে পানি লাগাবেন না। এতে মেহেদির রঙ গাঢ় হবে।
সান নিউজ/জেএইচ